কলমচৌড়ায় গ্রেফতার ভারতীয় দালাল
আগরতলা, ২০ জুন (হি.স.) : প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের মতো ভয়ানক অপরাধের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ভারতের সীমন্ত রাজ্য ত্রিপুরা। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে প্রায় প্রতিদিনই রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে
দালাল গ্রেফতার


আগরতলা, ২০ জুন (হি.স.) : প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের মতো ভয়ানক অপরাধের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ভারতের সীমন্ত রাজ্য ত্রিপুরা। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে প্রায় প্রতিদিনই রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। এর পেছনে রয়েছে একদল দালালের হাত। রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় এই দালালরা সক্রিয়।

এমনই এক দালালকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত দালালের নাম শরীফ মিয়া। পিতা বাচ্চু মিয়া। সিপাহীজলা কলমচৌড়া থানার দুধপুকুর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় তার বাড়ি। প্রায় বছরখানেক আগে আগরতলা রেলস্টেশনে ধরা পড়া অবৈধ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে শরীফ মিয়ার নাম পায় আগরতলা রেলস্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ।

সেই মতো একাধিকবার তার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। কিন্তু শরীফ মিয়ার টিকির নাগাল পায়নি পুলিশ। বরাবরই ভাগ্যের জোড়ে পালিয়ে বেঁচে যায় শরীফ। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিধিবাম ছিল শরীফ মিয়ার। জিআরপি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় শরীফ মিয়া তার বাড়িতেই অবস্থান করছে। সেই মত আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ বিএসএফের ৪৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান এবং কলমচৌড়া থানার সহযোগিতা নিয়ে মধ্যরাতে দুধপুকুর মসজিদ সংলগ্ন তার বাড়ি চারদিক দিয়ে ঘেরাও করে অভিযান চালায়।

বাড়িতে তখন ঘুমাচ্ছিল শরীফ মিয়া। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আগরতলা রেলস্টেশনের জিআরপি থানায় নিয়ে আসে। রাতভর শরীফ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার সাথে যুক্ত আরও কয়েকজনের নাম পুলিশ জানতে পারে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে বলে ধৃত শরীফ মিয়াকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।

শুক্রবার আগরতলা রেলস্টেশনের জিআরপি থানার ওসি তাপস দাস এই সংবাদ জানিয়ে বলেন, কলমচৌড়া থানা এলাকার শরীফ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে ও আশ্রয় দেওয়ার সাথে যুক্ত। দালাল চক্রের মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার হওয়ায় সোনামুড়া মহকুমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande