নয়াদিল্লি, ২৪ জুন (হি.স.): জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৯৭৫ সালে জারি করা জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের উপর তীব্র আক্রমণ করেন। প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ে আয়োজিত সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহ বলেন, জরুরি অবস্থা কোনও রাষ্ট্রের সঙ্কটের ফল নয়, বরং এটি ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ক্ষমতা বাঁচানোর প্রচেষ্টা।
অমিত শাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৪ জুনের রাত ছিল স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে অন্ধকার রাত। কারণ এর পর পুরো ২১ মাস পর গণতন্ত্রের ভোর আসে। তিনি বলেন, এই সময়ে সংসদের সম্মতি নেওয়া হয়নি, মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়নি, বিরোধী দলকেও আস্থায় নেওয়া হয়নি। কেবল ক্ষমতা বাঁচানোর জন্য দেশকে একনায়কতন্ত্রের অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
শাহ আরও বলেন, গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্র মানব প্রকৃতির দুটি প্রকাশ। যদি গণতন্ত্র আবার পুনরুজ্জীবিত করা যায়, তাহলে একনায়কতন্ত্রের বিপদও আবার দেখা দিতে পারে। তাই, তরুণদের এই ইতিহাস জানা এবং বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
শাহ বলেন, ভারতকে গণতন্ত্রের জননী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এই কারণেই দেশের মানুষ কখনও একনায়কতন্ত্র মেনে নেয়নি। জরুরি অবস্থার সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ জেলে যান, ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়, পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ছেড়ে দেননি।
জরুরি অবস্থার সংজ্ঞা দিয়ে শাহ বলেন, জরুরি অবস্থা হল একটি গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রকে একনায়কতন্ত্রে রূপান্তরিত করার ষড়যন্ত্রের নাম। সেই সময়ে জয়প্রকাশ নারায়ণ, মোরারজি দেশাই, অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানির মতো প্রবীণ নেতাদের জেলে পাঠানো হয়েছিল।
ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং পাঞ্চজন্য সাপ্তাহিকের সম্পাদক হিতেশ শঙ্কর সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / পাপিয়া