কাছাড়ে উদ্বোধিত ‘ডিজি সিএফআরসি’, সংকটকালীন মুহূর্তে জনতার ক্ষমতায়নের পথে নতুন দিশা
শিলচর, (অসম), ১৬ জুলাই (হি.স.) : কাছাড় জেলা প্রশাসন আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার প্রথম ‘কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার’ (ডিজি সিএফআরসি)-এর উদ্বোধন করেছে। কমিউনিটি-কেন্দ্রিক এই প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহজতর করা এবং
কাছাড়ে উদ্বোধিত ডিজি সিএফআরসি


ডিজি সিএফআরসি উদ্বোধনের এক মুহূর্ত


শিলচর, (অসম), ১৬ জুলাই (হি.স.) : কাছাড় জেলা প্রশাসন আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার প্রথম ‘কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার’ (ডিজি সিএফআরসি)-এর উদ্বোধন করেছে। কমিউনিটি-কেন্দ্রিক এই প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহজতর করা এবং সরকারি প্রকল্পগুলোকে জনগণের কাছে আরও সুগম করা। শিলচরের বরাক ভিউ রেসিডেন্সি হোটেলে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত রক্তিম বরুয়া ‘কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার’-কে প্রশাসন ও নাগরিকদের মধ্যে এক প্রাণবন্ত সেতুবন্ধন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, যখন বিভিন্ন দফতর আলাদাভাবে কাজ করে, তখন সাড়া দিতে সমস্যায় পড়ি। সিএফআরসি আমাদের প্রচেষ্টাগুলোকে সমন্বিত করা এবং জনগণকে পরিকল্পনার কেন্দ্রে রাখার সুযোগ দেবে।’

অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করেছেন কাছাড় জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনিৰ্বাহী আধিকারিক প্রণবকুমার বরা। তিনি ‘ডিজি সিএফআরসি’-এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কাছাড়ের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে যেখানে শেষ প্রান্তের মানুষদের কাছে পৌঁছানো ও সচেতনতা বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে এই প্ল্যাটফর্ম আমাদের সহায়তা করবে। প্রযুক্তি, প্রশিক্ষিত কর্মী এবং সচেতনতা কর্মসূচিকে একত্রিত করে আমরা নিশ্চিত করছি, কেউ যেন বাদ না পড়েন।’

ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি আনন্দ কানু ও অনন্যা গোস্বামী তাঁদের বক্তব্যে কমিউনিটি চর্চা ও শাসনব্যবস্থায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) নীতি অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তাঁরা কাছাড়ের বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট সমস্যা তুলে ধরে দেখিয়েছেন কীভাবে সিএফআরসি কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী ও সচেতন করে তুলতে পারে।

ড. ঋতুমণি দাস ডিজি সিএফআরসি ম্যানুয়ালগুলোর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন। ইন্টার-এজেন্সি গ্রুপ (আইএজি), কাছাড়-এর সেক্রেটারি সিএফআরসির পরিচালন নির্দেশিকা ব্যাখ্যা করে সবাইকে দায়িত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ফিল্ড অফিসার সিএফআরসিকে রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিল (এসডিআরএফ)-এর কাঠামোর সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান শেষে একটি সিমুলেটেড দুর্যোগ পরিস্থিতি অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা সেখানে কৃত্রিম সংকট পরিস্থিতিতে সিএফআরসির কার্যকারিতা যাচাই করেন এবং দেখান কীভাবে দ্রুত তথ্য, জনবল ও সম্পদ সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া যায় বলে বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় শিলচর থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande