সচেতন চিকিৎসকরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন : রাষ্ট্রপতি
কল্যাণী, ৩০ জুলাই (হি.স.): সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন চিকিৎসকরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বুধবার কল্যাণী এইমস-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এদিন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জে
কল্যাণী এইমস-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি


কল্যাণী, ৩০ জুলাই (হি.স.): সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন চিকিৎসকরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বুধবার কল্যাণী এইমস-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এদিন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস, কল্যাণীর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি এদিন ৪৮ জন এমবিবিএস স্নাতক এবং ৯ জন পোস্ট-ডক্টরাল সার্টিফিকেট কোর্স স্কলারকে ডিগ্রি প্রদান করেন। এটি ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করা এইমস কল্যাণীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডঃ সি. ভি. আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব, কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং এইমস কল্যাণীর নির্বাহী পরিচালক ডঃ রামজি সিং-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেন, এই ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেখাশোনা করতে হবে এবং এইমস কল্যাণীকে জাতীয় গর্বের স্থান করে তুলতে হবে। চৈতন্য মহাপ্রভু, নীল দর্পণের লেখক দীনবন্ধু মিত্র, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঘা যতীন, কল্যাণীর পরিকল্পনাকারী ও প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কল্যাণী অনেক মহান ব্যক্তিত্বের জন্ম ভূমি এবং এইমসকে সেই উত্তরাধিকার ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডাক্তার সাহেব যখন কোন উপদেশ দেন, তখন তা মানুষের উপর আরও বেশি প্রভাব ফেলে। যখন ডাক্তার সাহেব নিজে কোনও আদর্শ উপস্থাপন করেন, তখন তার প্রভাব আরও বেশি। কম ঘুমানো এবং একটানা কাজ করা ডাক্তারের কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তার অথবা রোগী কেউই উপকৃত হন না।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌমিতা




 

 rajesh pande