হাফলং (অসম), ৫ জুলাই (হি.স.) : এবার ডিমা হাসাও জেলায় নয়, ধস নেমেছে লামডিং-লংকা ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের এস টার্নিঙে।
শুক্রবার রাতের প্রবল বর্ষণে লামডিং-লংকা চার লেন ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই লেন অংশ সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। গতরাতে ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন লংকা-লামডিং চার লেন সংযোগী এস টার্নিঙের কাছে ছোট পাহাড়ের ঢালু জায়গা থেকে মাটি-পাথর নেমে জাতীয় সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা দুই লেন অংশ সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ফলে জাতীয় সড়কের একদিকের দুই লেন অংশ বন্ধ হয়ে যাওয়া এক দিক দিয়েই যানবাহন যাতায়াত করছে।
এভাবে যদি এখন সমতল এলাকাও ধস নামে তা-হলে বর্তমানে ডিমা হাসাও জেলার ওপর দিয়ে যাওয়া ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে যে কোনও মুহূর্তে ধস নেমে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে গত ২৩ জুন জাটিঙ্গা লামপুরের কাছে জাতীয় সড়কের এক বৃহৎ অংশে ধস নেমে ১৪ দিন থেকে ওই সড়কপথে পণ্যবাহী লরি চলাচল বন্ধ। চোদ্দ দিন থেকে লামডিং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া লরি চালক ও খালাসিদের অবস্থা একেবারে শোচনীয় হয়ে পড়েছে। লরি চালকদের কাছে মজুত রেশন ও টাকা পয়সা শেষ হয়ে যাওয়ায় তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছেন হাজারো ট্রাক চালক ও খালাসি।
ট্রাক চালকরা জানিয়েছেন, যখন বন্যা হয় তখন বন্যার কবলে পড়া মানুষ শরণার্থী হয়ে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিলে সরকার ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে দুর্গতদের সহায়তা করে। কিন্তু ডিমা হাসাও জেলায় ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়া হাজার হাজার ট্রাক চালক শরণার্থী হয়ে পড়লেও সরকার বা বেসরকারি কোনও সংগঠন তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি।
তবে গত দুদিন অসম ট্রাক চালক কল্যাণ সমিতি এবং ত্রিপুরার আটটি জেলার চালক সংস্থার জেলা সভাপতিরা চাঁদা সংগ্রহ করে আটকে পড়া ট্রাক চালকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এমতাবস্থায় বহিঃজেলা থেকে আগত ট্রাক চালকরা এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী, অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন।
এদিকে শিলচর-হাফলং ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও এখনও ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জাটিঙ্গা লামপুরে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করছে যদিও, এই সড়কপথ খুলে দিতে আরও চার-পাঁচদিন সময় লেগে যেতে পারে বলে জানা গেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব