কলকাতা, ৬ জুলাই (হি.স.): চাষি চব্বিশটা মাছ এনে স্ত্রীকে দিয়েছে রান্নার জন্য। রান্নার পর সে মাছ চাখতে গিয়ে প্রায় সবটাই খেয়ে ফেলছেন চাষিবউ। পড়ে আছে একটা মাত্র মাছ।
অগত্যা উপায়? স্ত্রী খেতে বসে স্বামীকে মাছের হিসাব দিচ্ছেন এইভাবে— “মাছ আনিলা ছয় গণ্ডা, চিলে নিলে দু’গণ্ডা। বাকি রহিল ষোলো, ধুতে আটটা জলে পলাইল। তবে থাকিল আট, দুইটায় কিনিলাম দুই আটি কাঠ। তবে থাকিল ছয়, প্রতিবাসিকে চারিটা দিতে হয়। তবে থাকিল দুই, আর একটা চাখিয়া দেখিলাম মুই। তবে থাকিল এক, এখন হইস যদি ভাল মানুষের পো, কাঁটাখানা খাইয়া মাছ খান থো।”
বাঙালির কথা উঠলেই মাছেভাতে আর দুধেভাতে শব্দদুটি উঠে আসে। ভারতে মাছ খাওয়ার দিক থেকে বড়াই করতে পারে বাঙালি। কিন্তু ভারতে জলজ প্রাণীর চাষ আর সেগুলো ধরার পার্থক্যটা কত ধারণা আছে? বাৎসরিক সমীক্ষা অনুযায়ী পরিমাণদুটি হল যথাক্রমে ১০.২ এবং ৫.৫ মিলিয়ন টন।
এই ক্ষেত্রে জলজ প্রাণী বলতে ধরা হয়েছে কুমীর থেকে স্পঞ্জ— সব কিছু। তবে, মূল অংশটা মাছ। তালিকায় অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে, প্রথম স্থান দখল করেছে চিন। ওদেশের জলজ প্রাণী চাষ আর ধরার পরিমাণদুটি হল যথাক্রমে ৫২.৯ এবং ১৩ মিলিয়ন টন। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ইন্দোনেশিয়া (৫.৪ এবং ৭.৩ ১৩ মিলিয়ন টনও ভিয়েতনাম (৫.২ এবং ৩.৬ মিলিয়ন টন)। এর পরের দুটি স্থান বাংলাদেশ
(২.৭ এবং ২ মিলিয়ন টন) এবং নরওয়ের (১.৬ এবং ২.৪ মিলিয়ন টন)।
এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়া ও নরওয়েতে যত জলজ প্রাণী চাষ হয়েছে, ধরা হয়েছে তার চেয়েও বেশি। অর্থাৎ, ওদের সার্বিক জলজ প্রাণীর পরিমাণ বা সম্ভার আরও বেশি। ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন’ (ফাও)-এর সমীক্ষা বলছে, গোটা বিশ্বে যত জলজ প্রাণীর চাষ হয়, তার ৫১ শতাংশ ধরা হয়েছে ২০২২-এ। সে বছর জালে আবদ্ধ এই প্রাণীর পরিমাণ ছিল ৯৪ মিলিয়ন টন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত