উপাচার্যর উদ্দেশে আচরণ নিয়ে ১৭টি শিক্ষক সংগঠনের যৌথ বিবৃতি
কলকাতা, ১ সেপ্টেম্বর, (হি.স.): “দায়িত্ব পালনের জন্য শাসকদলের নেতা থেকে শুরু করে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর তরফে বিশেষত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে তা শুধু আপত্তিকর নয়, উক্ত পদের মর্যাদা ও ঐতিহ্যের জন্য অসম্মান
১৭টি শিক্ষক সংগঠনের যৌথ বিবৃতি


কলকাতা, ১ সেপ্টেম্বর, (হি.স.): “দায়িত্ব পালনের জন্য শাসকদলের নেতা থেকে শুরু করে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর তরফে বিশেষত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে তা শুধু আপত্তিকর নয়, উক্ত পদের মর্যাদা ও ঐতিহ্যের জন্য অসম্মানজনকও।”

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানাল ১৭টি শিক্ষক সংগঠন। তাতে লেখা হয়েছে, “আপনারা সকলেই জানেন যে গত ২৮ আগস্ট এ রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর এবং সরকারের তরফে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা সূচি বদলের অনুরোধ তথা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

দু-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা কার্যকর হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থে পরীক্ষার মত পূর্বনির্ধারিত সংবেদনশীল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখেছে। কোনো ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ বা ব্যক্তিগত ইচ্ছা এখানে প্রাধান্য পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনকে মর্যাদা দিয়ে আইন-কানুন, প্রাতিষ্ঠানিক সমিতিগুলির অনুমোদন নিয়েই তা করা হয়েছে।

উল্টোদিকে প্রতিষ্ঠানের কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারি হস্তক্ষেপ শুধু নীতিবিরুদ্ধ নয়, তা স্বশাসিত সংস্থার আইনের পরিপন্থী এবং অবশ্যই বিপজ্জনক। ফলত বে-আইনি কাজ থেকে বিরত থেকে যাঁরা পরীক্ষা চালু রেখেছেন তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনের মর্যাদা রক্ষা করেছেন।”

এর পর বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “আমরা কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এইধরনের সরকারি হস্তক্ষেপের পরিণাম সম্পর্কে সকলেই অবহিত আছি। এ রাজ্যের সরকারও তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব কায়েম করতে স্বশাসনের অধিকারের উপর নানাভাবেই হস্তক্ষেপ করে চলেছে।আমরা এর বিরুদ্ধে, স্বশাসনের অধিকারের দাবিতে সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande