২০২৮-২৯ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে : কৃষিমন্ত্রী
আগরতলা, ১২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরা আগামী ২০২৮-২৯ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, নিজের রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে ২০২৯-৩০ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরার উৎপাদিত আলু দেশের অন্যান্য রাজ্যেও রপ্তা
মন্ত্রী রতন লাল নাথ


আগরতলা, ১২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরা আগামী ২০২৮-২৯ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, নিজের রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে ২০২৯-৩০ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরার উৎপাদিত আলু দেশের অন্যান্য রাজ্যেও রপ্তানি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার সচিবালয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ তাঁর অফিস কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আলু উৎপাদনে শুধু স্বনির্ভর হওয়াই নয়, রাজ্যে আলুর চিপস প্রসেসিং সেন্টারও গড়ে তোলা হবে। এ বিষয়ে আর.কে.ভি.ওয়াই, প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৯-৩০ অর্থবছরের জন্য ৩৫ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার একটি প্রজেক্টও গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী জানান, পেরুর রাজধানী লিমা থেকে এপিক্যাল রুট কাটিং পদ্ধতি আমদানি করে আলু চাষ করে রাজ্যে এবছর আলুর রেকর্ড ফলন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি আলুর উৎপাদন হয়েছে। রাজ্যের এই সাফল্যের খবর লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্র পেরুতে গিয়ে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টারের ডিরেক্টর জেনারেল সাইমন হ্যাক ও কাউন্ট্রি ম্যানেজার নিরোদ শর্মা বিষয়টি চাক্ষুষ করতে রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য হিসেবে আলু আজ সব দেশেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ত্রিপুরায় বর্তমানে ২৩ হাজার ৭৪৫ জন আলুচাষি ৭,৬২২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করছেন। আগে ত্রিপুরায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে দেশীয় বীজ এনে এবং পরবর্তী সময়ে টি.পি.এস-এর মাধ্যমে আলু চাষ করা হতো। কিন্তু উৎপাদন আশাব্যঞ্জক ছিল না। রাজ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে পেরুর এপিক্যাল রুট কাটিং পদ্ধতিতে চাষ করে আলু চাষে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das




 

 rajesh pande