বাঁকুড়া, ১৫ সেপ্টেম্বর (হি স): ৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা জগৎ মল্লের হাত ধরে বাঁকুড়ায় দুর্গোৎসবের সূচনা। কথিত আছে , ছাতনার ভূমিপুত্র বড়ু চন্ডীদাসকে নিয়ে মল্লভূম ও ছাতনার মধ্যে বিবাদের পর উভয়ের মধ্যেই একটি সন্ধি হয়। সেই থেকেই মল্লভূমের দুর্গার আরাধনা শুরু হয় ছাতনায়। মল্লভূমের মা মৃন্ময়ীর আদলেই গড়া হয় ছাতনা রাজবাড়ির প্রতিমা । তবে ,এই পুজোর বিশেষত্ব , মূর্তি বিসর্জনের দিন অংশ নিতে পারেন না রাজপরিবারের কোনও সদস্য।
রাজপরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন , ছাতনা রাজ বাড়ির কুলদেবী মা বাসুলী। তাই মা দুর্গার বিসর্জনের পরেই পূজিত হন না বাসুলী। বিগত সাড়ে পাঁচশো ধরে চলে আসছে এই রীতি। মল্ল রাজাদের অনুকরণেই পুজোর ১৫ দিন আগে জিতাষ্টমীর দিন শুরু হয় পুজোর যাবতীয় নিয়মরীতি । তোপধ্বনির মাধ্যমে সম্পন্ন হয় সন্ধিপুজো। পুজোয় প্রচলিত রয়েছে 'ডালা দৌড়' ও 'খাড়া দৌড়' -র মতো বেশ কিছু প্রাচীন প্রথা। তবে বিসর্জনের দিন সূর্যাস্তের পরেই রাজপরিবারের সদস্যদের অলক্ষে এক বিশেষ এলাকার বাসিন্দাদের তত্ত্বাবধানেই গোপনে সাড়া হয় প্রতিমা বিসর্জন।
তবে পুজোর বয়স সাড়ে ৫০০ বছর হলেও , মন্দিরের বয়স বর্তমানে ৩০০ বছর। রানী আনন্দ কুমারীর আমলে তৈরি হয় দুর্গা মন্দিরটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয় হয়েছে মন্দিরের একাংশ। হয়েছে সংস্কারের কাজ। তবে উমার আরাধনার ঐতিহ্য রয়েছে অটুট।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সোমনাথ বরাট