বিজেপি যেন ঝাণ্ডা বাঁধার একটাও খুঁটি না পায়, নিশ্চিত করতে হবে : বীরবাহা হাঁসদা
বাঁকুড়া, ১১ অক্টোবর (হি.স.) : “বাংলায় একটাই দল থাকবে—তৃণমূল, একটাই নেত্রী—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর একটাই নেতা—অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এমন পরিস্থিতিই তৈরি হবে।” এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী বীর
বিজেপি যেন ঝাণ্ডা বাঁধার একটাও খুঁটি না পায় নিশ্চিত করতে হবে - বীরবাহা


বাঁকুড়া, ১১ অক্টোবর (হি.স.) : “বাংলায় একটাই দল থাকবে—তৃণমূল, একটাই নেত্রী—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর একটাই নেতা—অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এমন পরিস্থিতিই তৈরি হবে।” এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আগামী দিনে এমন পরিস্থিতি গড়ে তুলতে হবে, যাতে ঝাণ্ডা বাঁধার মতো একটাও খুঁটি বিজেপি না পায়।”মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তিনি তো সদ্য তৃণমূলে এসেছেন। তৃণমূলের ছোঁয়া লাগতেই এমন ভাষা ব্যবহার করছেন—এটাই তৃণমূলের স্বভাব। গণতন্ত্রকে সম্মান না করে ভয় দেখানোই তাদের ধর্ম। তবে উনি ঠিকই বলেছেন—এক দলই থাকবে, কিন্তু সেই দল ক্ষমতায় থাকবে না। সনাতনী বাঙালি ও ভারতীয় মুসলমানরা ঠিক করে নিয়েছে—২০২৬-এর নির্বাচনে তৃণমূলের বিসর্জন হবে।”

বীরবাহা তাঁর ত্রিপুরা সফরের অভিজ্ঞতার কথাও সভায় ভাগ করেন। বলেন, “সেদিন আমার জন্মদিন ছিল। মাত্র ৩০ টাকার কেক কিনে সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি সেটি নিয়েও কটাক্ষ করেছে। ওরা বুঝিয়ে দিতে চাইছে, আদিবাসীরা নাকি কেক খেতে পারে না!”

এ বিষয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদিবাসী সমাজে জন্মদিনে কেক খাওয়ার রীতি নেই। তিনি এখন আদিবাসী সমাজে আছেন তো, না সমাজচ্যুত হয়েছেন?” অন্যদিকে, বামফ্রন্টও বীরবাহার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল ভাবছে বাংলায় এক দল, এক ধর্ম, এক নেতা থাকবে। এই মনোভাব তো বিজেপিরও। দুই দলের আদর্শই একই—আধিপত্যবাদ ও গণতন্ত্রবিরোধিতা।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সোমনাথ বরাট




 

 rajesh pande