কলকাতা, ১৬ অক্টোবর (হি.স.): “ক্ষমতায় থেকেও শরীরে মনে তৃণমূল তেমনই থাকুক। বিজেপি, সিপিএম, বিরোধীরা ঝড়ে উড়ে যাবে। লিখে রাখুন 250+”। বৃহস্পতিবার এক্সবার্তায় একথা লিখেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
তিনি লিখেছেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারপর সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখন দীর্ঘকাল তৃণমূল কংগ্রেসকে বাংলার দায়িত্বে রাখতে বাংলার মানুষ প্রস্তুত। কিন্তু তার জন্য প্রতিটি এলাকায় নেতা, কর্মী, সমর্থকদের দায়িত্বও আছে।
নেত্রীর প্রতি মানুষের আস্থা, অভিষেকের প্রতি ভালোবাসা দেখে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে যদি দলের একাংশের নেতা, কর্মী রাজনীতির আসল অংশটা থেকে সরে গিয়ে ঔদ্ধত্য ও অন্য কিছু ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে কিছু মানুষ, এমনকি দলের কর্মীরাও বিরক্ত হতে পারেন। দলের মধ্যে থেকেই এই বিষয়ে এলাকাভিত্তিতে সতর্ক থাকা দরকার।
আমরা 250+ সিট পাওয়ার জায়গায় আছি। মুখ্যমন্ত্রী কাজ করেছেন, করে চলেছেন, নজিরবিহীন উপকার হচ্ছে মানুষের। কিছু জায়গায় স্থানীয়স্তরে একটু মেরামতি দরকার। সঠিক লোক চেনা দরকার। ইগো/গোষ্ঠী সরিয়ে মানিয়ে নেওয়া দরকার। শাসকের অর্জিত মেদ বর্জন দরকার। অর্গ্যানিক/স্বাভাবিক আবেগ, উচ্ছ্বাস, ভালোবাসা বেড়ে চলুক।
কৃত্রিম বাতাবরণ বর্জিত থাক। সেই কবে, আটের দশকে লালবাজারে সিপি-র ঘরে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেপ্তার আমরা কজন, সেই সময়ের ছাত্র যুব আন্দোলন, অন্য ছাত্রযুব নেতাদের লড়াই, মমতাদির কালবৈশাখী হয়ে ওঠা; এলাকার রাজনীতিতে না ছিল থানার সমর্থন, না ছিল বেশি চাঁদা দেওয়ার লোক;
কিন্তু সিপিএমের মত প্রবল শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে রাজনীতিটা ছিল; মমতাদি ঘর থেকে সকলকে টেনে বার করে আনার ম্যাজিক জানতেন; তখন তৃণমূল হয়নি, কিন্তু তৃণমূলের ভিতপুজোর প্রক্রিয়া যেন শুরু; সেই আবেগটা নিঃস্বার্থ, নিঃশর্ত, ক্ষমতার জৌলুসহীন কিন্তু প্রাণশক্তিতে ভরপুর।
(মমতাদি, অভিষেক ও দলের এক সৈনিকের উপলব্ধি)”।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত