ঝাড়গ্রাম, ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : ফের ঝাড়গ্রাম জেলার দুই বালি খাদানে হানা দিল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একটানা অভিযান চালায় ইডির আধিকারিকেরা। জেলার লালগড় থানার সিজুয়া এলাকার কংসাবতী নদীর বালি খাদান এবং গোপীবল্লভপুরের সুমিত্রাপুরের সুবর্ণরেখা নদীর বালি খাদান ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে , সিজুয়া এলাকার বালি খাদানের অফিস ঘরে তালা ভেঙে ইডির আধিকারিকেরা ঢোকেন এবং বালি বিক্রির সিও-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখেন। সকাল সাতটা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং অফিসের ভেতরে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, জাল সিও বানিয়ে অবৈধ বালি পাচারের তথ্য সংগ্রহ করতেই এই তল্লাশি অভিযান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিজুয়া খাদানে ওই সময় একশোরও বেশি লরি ও ডাম্পার বালি বোঝাই করতে এসেছিল। ইডির নির্দেশে খাদানে বালি বোঝাই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আগে থেকেই বোঝাই হওয়া লরিগুলিকে বালি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযানের সময় খাদানের ম্যানেজার গোপাল মণ্ডল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে আটক করে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।অন্যদিকে, গোপীবল্লভপুরের সুমিত্রাপুর এলাকায় ইডির অপর একটি দল হানা দেয়। সুবর্ণরেখা নদীর তীরে অবস্থিত ওই বালি খাদান ও সংলগ্ন অফিস ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। জানা গেছে, এই খাদানটি স্থানীয় ঠিকাদার ও বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের নিয়ন্ত্রণাধীন।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বরও ইডি এই খাদানে এবং মেদিনীপুরের যমুনাবালি এলাকায় সৌরভ রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল। লালগড়ের সিজুয়া খাদানটি ‘বিনীত ইনফিটেক’ নামের একটি সংস্থার নামে হলেও, সেটিও সৌরভ রায়ের নিয়ন্ত্রণে বলে স্থানীয়দের দাবি। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টার তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ অভিযান শেষ করে ইডির আধিকারিকেরা।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো