এসআইআর নিয়ে কড়া অবস্থানের হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপি-র
কলকাতা, ১৬ অক্টোবর, (হি.স.): “যে কোনও মূল্যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলিম ভোটারদের নাম, রোহিঙ্গা ভোটারদের নাম, মৃত এবং অন্য রাজ্যে স্থায়ীভাবে চলে যাওয়া ভোটারদের নাম এই রাজ্যের ভোটার তালিকায় থাকবে না।” বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বললেন
দেবজিৎ সরকার


কলকাতা, ১৬ অক্টোবর, (হি.স.): “যে কোনও মূল্যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলিম ভোটারদের নাম, রোহিঙ্গা ভোটারদের নাম, মৃত এবং অন্য রাজ্যে স্থায়ীভাবে চলে যাওয়া ভোটারদের নাম এই রাজ্যের ভোটার তালিকায় থাকবে না।” বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বললেন রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার।

তিনি বলেন, “এসআইআর যত এগোচ্ছে তত তৃণমূল কংগ্রেস অদ্ভুত রকম সু্র চড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্য সচিবকে পাশে বসিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন যে, কোনওব রকমভাবে এসআইআর করে কোনো ভোটারের নাম্বার বাদ দেওয়া যাবে না।

অর্থাৎ মৃত ভোটার, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমান ভোটার, রোহিঙ্গা মুসলমান ভোটার, এবং এই রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যের স্থায়ীভাবে চলে যাওয়া ভোটার তাদের নাম রাখতে হবে, এটা ওনার দাবি।”

দেবজিৎবাবু বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে জিতে মন্ত্রী হওয়া তাজিমুল হোসেন জঘন্যভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেছেন। এই তাজমুল হোসেন বলেছেন এসআইআর হোক কিন্তু এই এলাকার কোনও ভোটারের নাম বাদ যাওয়া যাবে না। অন্যদিকে তৃণমূলের সায়ন্তিকা দেবী বলেছেন, যদি এসআইআর হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে তো? তাহলে ভাবুন কি পরিস্থিতি!

এসআইআর হলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভুয়ো ভোট বন্ধ হয়ে যাবে, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী মুসলিম এবং রোহিঙ্গারা যাদেরকে এই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার পুষে রেখেছে তাদের ভোট চলে যাবে। এইরকম একটা পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে আমরা রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে বলতে চাই, এক ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।”

এছাড়াও তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বিএলও-দের ওপর চাপ দিচ্ছে। যারা এইভাবে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের ভোটারদের এনে ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করছেন আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিটি বুথে রুখে দাঁড়াবো। যতদিন না পর্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা আমাদের কাছে না আসবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই জারি থাকবে। এই লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে শামিল হবেন।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande