আগরতলা, ২১ অক্টোবর (হি.স.) : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীপাবলির আলোয় ভাসে, আর ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় পালিত হয় কালী পূজা। এ বছরও কালী পূজার পরদিন মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্দ্রনগর কালীবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা, যা দীপাবলির অন্যতম আকর্ষণ। এদিন সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত কালী প্রতিমার সামনে কুমারী মায়েকে বসিয়ে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়। পুরোহিতরা স্বামী বিবেকানন্দের নিয়ম মেনে এই কুমারী পূজা পরিচালনা করেন। ইন্দ্রনগর কালীবাড়ির পুরোহিত তন্ময় চক্রবর্তী ও জয়ন্ত চক্রবর্তী জানান, সাধারণত ১৬ বছরের মধ্যে কুমারী মায়ের পূজা করা হয়। তবে পাঁচ থেকে নয় বছরের কুমারীকে সর্বোত্তম ধরা হয়।
পুরোহিতরা আরও বলেন, কুমারী মায়ের পূজা অত্যন্ত নিয়মিতভাবে সম্পন্ন হয়। প্রথমে কুমারী মায়ের প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং তার পরই পূজা কার্যক্রম শুরু হয়। পবিত্র মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে কুমারী মায়ের আরাধনা করা হয়, যা ভক্তদের মনে আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগায়।
পূর্ণ পূজার শেষে দর্শনার্থীরা কুমারী মায়ের প্রণাম জানিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করতে হুরুহুরি পড়ে। এই সময় মন্দির প্রাঙ্গণ প্রায় দর্শনার্থীর সমাগমে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। পুরোহিতরা জানান, রাজধানীতে দীপাবলি উপলক্ষে কুমারী মায়ের পূজা শুধুমাত্র ইন্দ্রনগর কালীবাড়িতেই অনুষ্ঠিত হয় এবং অন্য কোনও মন্দিরে এ ধরনের আয়োজন হয় না।
এদিনের কুমারী পূজায় অংশ নেওয়া দর্শনার্থীরা এককথায় অভিভূত। তাঁরা বলছেন, এই পূজা শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগায় না, বরং রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করে। দীপাবলির আলো আর কুমারী পূজার আয়োজন মিলে ইন্দ্রনগর কালীবাড়িকে করে তোলে এক অদ্বিতীয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ