
কলকাতা, ১৬ নভেম্বর (হি.স.): বহুল প্রচারিত একটি দৈনিকের রবিবারের সম্পাদকীয়র কড়া সমালোচনা করে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় লিখেছেন, “না জানতে চাইলে আমাদের, অর্থাৎ বাঙালি হিন্দুদের, জন্য কি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে সেটাও বুঝে নিন।”
তথাগতবাবু লিখেছেন, “সম্পাদকীয় স্তম্ভ পরে হাসব কি কাঁদব ভেবে পেলাম না । ব্যালেন্স করার খেলা খেলতে গিয়ে .....এরকম মূর্খ ও নির্বোধের মত লিখবে আমার ভাবনার অতীত ছিল। ১৯৪৮ সালে শ্যামাপ্রসাদ বাঙালি সমাজের সংকট সম্বন্ধে যে কথা বলেছিলেন সেটা সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ না জানতে পারেন, কিন্তু .....র সম্পাদকমণ্ডলী জানবেন না?
সেটা ঘটেছিল মাত্র দু'বছরের মধ্যে, ১৯৫০-এর ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে, যখন পূর্ব পাকিস্তানের পাঞ্জাবি-মুসলমান শাসকরা এবং বাঙালি মুসলমানরা দেশের সমস্ত হিন্দুদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল, যার মধ্যে ছিল হত্যা, নারীহরণ, নারীধর্ষণ, ও বিতাড়ন । এর অকুস্থল ছিল প্রধানত ঢাকা এবং বরিশাল।
শ্যামাপ্রসাদ তাঁর অসাধারণ দূরদৃষ্টি দিয়ে এই ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছিলেন, এবং বাঙালি হিন্দুদের সাবধান করেছিলেন। একে অনেকে ভুল করে 'ফিফটির রায়ট' বলেন, যদিও এটা কোনো অর্থেই রায়ট বা দাঙ্গা ছিল না, ছিল সরকারি মদতপুষ্ট এক গণহত্যা, যার সঙ্গে তুলনা চলে হিটলারের ইহুদি-হত্যার।
এর তীব্রতা এত বেশি ছিল যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মুসলিম লীগ নেতা যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল (বরিশালের মানুষ) সহ্য করতে না পেরে ভারতে পালিয়ে আসেন।..... -এর সম্পাদক যদি বিশদ জানতে চান তাহলে আমার 'যা ছিল আমার দেশ' বইটি পড়ুন । আরো আছে - প্রভাসচন্দ্র লাহিড়ীর 'পাক-ভারতের রূপরেখা', সুখরঞ্জন সেনগুপ্তের (দাসগুপ্ত নয়) 'রক্তরঞ্জিত ঢাকা বরিশাল, এবং...'।
অবশ্য যদি জানতে চান তবেই । না জানতে চাইলে কোন প্রয়োজন নেই।” এই বার্তা তথাগতবাবু যুক্ত করেছেন ওই পত্রিকার এক্সবার্তার সঙ্গে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত