বাংলাদেশের জেলে রহস্যমৃত্যু কাকদ্বীপের যুবকের
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৬ নভেম্বর (হি.স.): বিচারাধীন অবস্থায় বাংলাদেশের জেলে মৃত্যু হল কাকদ্বীপের এক যুবকের, পেশায় তিনি মৎস্যজীবী। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করার দায়ে সে দেশে আটক হয়েছিলেন কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার মৎস্যজীবী যুবক
Death


দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৬ নভেম্বর (হি.স.): বিচারাধীন অবস্থায় বাংলাদেশের জেলে মৃত্যু হল কাকদ্বীপের এক যুবকের, পেশায় তিনি মৎস্যজীবী। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করার দায়ে সে দেশে আটক হয়েছিলেন কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার মৎস্যজীবী যুবক বাবুল দাস। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম (মূক ও বধির) ছিলেন তিনি। সংসারের হাল ধরতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে হত বাবুলকে। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিচারাধীন বাবুলের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাসের তরফে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়৷ যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পরিবারের মনে।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরার অভিযোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে আটক হয় 'এফবি মঙ্গলচণ্ডী' ও 'এফবি ঝড়' নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের দু'টি ট্রলার ও ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। ট্রলার দু'টি কাকদ্বীপ থেকেই গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়েছিল। আটক হওয়া মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশ নৌবাহিনী মংলা পোর্ট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কাকদ্বীপের বাসিন্দা বাবুল দাসও। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মারা যান বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ বাবুলের পরিবার। মৃত্যুর আসল কারণ গোপন করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande