শিল্পাঞ্চলজুড়ে বিএলও তালিকায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা! সরব বিজেপি
দুর্গাপুর, ২ নভেম্বর (হি. স.): আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বিএলও (ব্লক লেভেল অফিসার) তালিকায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহায়িকা ও পার্শ্বশিক্ষক অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিতর্ক ছড়িয়েছে। কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি, ইতিমধ্যেই তারা নির্বাচন কমি
শিল্পাঞ্চলজুড়ে বিএলও তালিকায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা! সরব বিজেপি


দুর্গাপুর, ২ নভেম্বর (হি. স.): আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বিএলও (ব্লক লেভেল অফিসার) তালিকায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহায়িকা ও পার্শ্বশিক্ষক অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিতর্ক ছড়িয়েছে। কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি, ইতিমধ্যেই তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে।

রাজ্যে সম্প্রতি এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে মৃত বা ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে। এই কাজের জন্য বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে তালিকা প্রকাশের পর দেখা গেছে, দুর্গাপুর পূর্ব-পশ্চিম, অন্ডাল, লাউদোহা, পান্ডবেশ্বর ও কাঁকসা ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহায়িকা ও পার্শ্বশিক্ষককে বিএলও হিসেবে রাখা হয়েছে।

দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিজেপির পর্যবেক্ষক শ্রীদীপ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, “দুর্গাপুর পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৩০-৪২ জন এবং অন্ডাল, পান্ডবেশ্বর, লাউদোহা ব্লকে ৩০-৬০ জন করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিএলও হিসাবে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সার্কুলারে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে—গ্রুপ সি-এর নিচের সরকারি কর্মচারী এবং যারা ডিএ বা পেনশনের আওতায় নেই, তাদের রাখা যাবে না। প্রশ্ন উঠছে, শাসকদলের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা নির্বাচনের কাজ করছেন, এদের নিরপেক্ষতা কতটা থাকবে?”

এদিকে কংগ্রেস নেতা দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, “বিএলও তালিকায় থাকা বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহায়িকা, পার্শ্বশিক্ষক তৃণমূলকর্মী। কাজের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাদের নাম বিএলও তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।” নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande