
দুর্গাপুর, ২৩ নভেম্বর (হি. স.) : পান্ডবেশ্বরে এনুমারেশন ফর্মে কিউআর কোড স্ক্যান করতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় বাসিন্দা মায়ারানী গোস্বামীর নামে রাজ্যের ৪৪টি বিধানসভায় ভোটার তালিকায় এন্ট্রি পাওয়া গেছে। যদিও পদবি আলাদা, তবে স্বামীর নাম একই। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল, কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি।
পান্ডবেশ্বরের ডিভিসি মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে থাকেন মায়ারানী গোস্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর পরিচারিকার কাজ করে জীবিকা চালান তিনি। এলাকায় এনুমারেশন ফর্ম ফিল-আপের সময় তাঁর এনুমারেশন ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই দেখা যায় দার্জিলিং, বাঁকুড়া, বর্ধমান, দীঘা, উত্তর ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর—মোট ৪৪ বিধানসভায় তাঁর নামে বিভিন্ন পদবিতে এপিক নম্বর যুক্ত রয়েছে। এই সব এপিক নম্বর অনলাইনে পুরোনো হিসেবে দেখাচ্ছে।
এর পরই বিষয়টি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি অভিযোগ করেন, “একই মহিলার নামে ৪৪ বিধানসভায় এপিক এগুলো ভুয়ো ভোটার কার্ড। এই কারণেই বাংলায় এসআইআর জরুরি। ভুয়ো কার্ডে ভোটে জিতেছে তৃণমূল।”
অন্যদিকে তৃণমূলের স্থানীয় সভাপতি রবিন পাল বলেন, “মায়ারানী নিজে এসব করতে পারবেন না। এটা নির্বাচন কমিশনের ভুল। কমিশন তদন্ত করুক।”
মায়ারানী জানান, আগে বৈদ্যনাথপুরে থাকতেন এবং সেখানেই ভোটার ছিলেন। রেলের জায়গা ভেঙে যাওয়ায় ডিভিসি পাড়ায় উঠে আসেন। তাঁর দাবি, “আমি এসব কিছুই জানি না। শুনে ভয় পাচ্ছি।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা