
অযোধ্যা, ২৫ নভেম্বর (হি.স.): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার অযোধ্যায় শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির দর্শন করেন ও রামলালার পূজার্চনা করেন। সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। তার আগে প্রধানমন্ত্রী এদিন সকালে সপ্ত মন্দির দর্শন করেন, এখানে মহর্ষি বশিষ্ট, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত, মহর্ষি বাল্মিকি, দেবী অহল্যা, নিষাদরাজ গুহ এবং মাতা শবরী পূজিত হন। তিনি শেষাবতার মন্দিরেও যান। প্রধানমন্ত্রী এদিন মাতা অন্নপূর্ণা মন্দিরও দর্শন করেন। তিনি ও মোহন ভাগবত রামদরবার গর্ভগৃহে আরাধনা করে রামলালার গর্ভগৃহও দর্শন করেন। বেলায় প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রাম জন্মভূমি মন্দিরের শিখরে গেরুয়া ধ্বজা উত্তোলন করেন। এর মাধ্যমে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হল। মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষে পবিত্র পঞ্চমী তিথিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঘটনাক্রমে এই দিনেই শ্রী রাম ও মা সীতা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিবাহ পঞ্চমীর অভিজিৎ মুহূর্তে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই সময়টিকে পবিত্র বন্ধনের মুহূর্ত বলে বিবেচনা করা হয়।
সমকৌনিক ত্রিভূজাকৃতি পতকাটির উচ্চতা ১০ ফুট। এটি ১২ ফুট চওড়া। এই পতাকার মধ্যে দীপ্যমান সূর্য্য ভগবান শ্রী রাম-এর প্রজ্ঞা ও শৌর্য্যের প্রতীক। পতাকার মধ্যে ওঁ লেখা আছে। এছাড়াও এখানে কবিদারা বৃক্ষের একটি ছবি রয়েছে। পবিত্র এই গেরুয়া পতাকাটি মর্যাদা ও ঐক্যের প্রতীক, যা রাম রাজ্যের আদর্শ অনুসরণ করে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে অযোধ্যা পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রধানমন্ত্রী এদিন অযোধ্যায় রোড-শো করেন। সেখান থেকে পৌঁছন রাম মন্দিরে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌমিতা