ফের শোকগ্রস্ত অসম, চেন্নাইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঁশিবাদক দীপক শর্মা
গুয়াহাটি, ৩ নভেম্বর (হি.স.) : অসমের কিংবদন্তি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জুবিন গার্গের অকাল মৃত্যুর শোক এখনও বহন করছে রাজ্য। এরই মধ্যে আজ সোমবার সকাল ৬:১৫টায় চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট বাঁশিবা
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঁশিবাদক দীপক শর্মা (ফাইল ফটো)


গুয়াহাটি, ৩ নভেম্বর (হি.স.) : অসমের কিংবদন্তি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জুবিন গার্গের অকাল মৃত্যুর শোক এখনও বহন করছে রাজ্য। এরই মধ্যে আজ সোমবার সকাল ৬:১৫টায় চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট বাঁশিবাদক দীপক শর্মা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কিংবদন্তি পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার অনুগত শিষ্য অসম সন্তান দীপক শর্মার মৃত্যুতে রাজ্যের সাংস্কৃতিক জগতে আরেকটি ধাক্কা এসেছে। দীপক শর্মার প্রয়াণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা গভীর শোক ব্যক্ত করে প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রনিক লিভারের রোগে ভুগছিলেন দীপক শর্মা। গুয়াহাটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দীপক। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চেন্নাইয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা হয়। কিন্তু আর্থিক সংকটের জন্য তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা তাঁর চিকিৎসার জন্য আর্থিক বোঝা কমাতে পাঁচ (৫) লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

কিন্তু এখানে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২১ অক্টোবর চেন্নাইয়ে এয়ারলিফ্ট করা হয়েছিল। ভরতি করা হয় রেলা হাসপাতালে। কিন্তু বিশিষ্ট ডাক্তারদের নিবিড় চিকিৎসা সত্ত্বেও, বলা চলে সকল চেষ্টা ব্যৰ্থ করে আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত বাঁশিবাদক দীপক শর্মা।

নলবাড়ি জেলার পানিগাঁওয়ে ১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন দীপক শৰ্মা। পরবৰ্তীতে গুয়াহাটির অম্বিকাগিরি নগরের বাসিন্দা হয়ে পড়েন তিনি।

পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার অনুগত শিষ্য হিসেবে দীপক শর্মা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ভক্তির সাথে গুরুপ্রদত্ত অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যান দীপক। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে ভারতরত্ন সুধাকণ্ঠ ড. ভূপেন হাজরিকা এবং জুবিন গার্গ সহ অসমের প্ৰথিতযশা সাংস্কৃতিক আইকনদের সাথে সংগত করেছিলেন, যা রাজ্যের সংগীত ঐতিহ্যের ওপর এক অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে।

দীপক শর্মা বেশ কয়েকটি অসমিয়া চলচ্চিত্র যেমন ‘জঙ্কি পানোই’, ‘জাটিঙ্গা ইত্যাদি’ এবং ‘লুইতাক ভেটিবো কুনে’-র সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। সংগীত জগতে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ সালে বছর-সেরা শিল্পী হিসেবে বেসরকারি চ্যানেল এনইটিভি সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন সংগীত প্রভা পুরস্কার। পেয়েছেন অসম ক্রীড়া সাংস্কৃতিক জুরি পুরস্কার (২০০৭ সাল), ২০০৮ সালে আসাম জ্যামস প্ৰভৃতি।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande