সরকারি অর্থে রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রচার, কটাক্ষ শুভেন্দুর
কলকাতা, ৩ নভেম্বর, (হি.স.): “পশ্চিমবঙ্গের তথ্য সংস্কৃতি দফতর একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি দফতর যা রাজ্যের কর দাতা জনগনের টাকায় পরিচালিত। তাহলে, সেই দফতর একটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রচার করে কি করে?” সোমবার সামাজিক মাধ্যমে এই প্রশ্ন তুললেন বি
শুভেন্দু অধি


কলকাতা, ৩ নভেম্বর, (হি.স.): “পশ্চিমবঙ্গের তথ্য সংস্কৃতি দফতর একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি দফতর যা রাজ্যের কর দাতা জনগনের টাকায় পরিচালিত। তাহলে, সেই দফতর একটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রচার করে কি করে?” সোমবার সামাজিক মাধ্যমে এই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি লিখেছেন, “দেশের একটি সাংবিধানিক সংস্থা ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পিসি ভাইপো এবং তাদের কম্পানি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি করবেন, যেখান থেকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হুমকি, চমকানি চলবে।

এই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাননীয়া সমাজমাধ্যম এক্স এ একটি পোষ্ট করেছেন। এই কর্মসূচি কেনো? কারণ নির্বাচন কমিশন স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রকৃয়া শুরু করেছে, যে প্রকৃয়াকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট তার রায়-এ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আশ্চর্যজনক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য এবং সংস্কৃতি দফতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাজ মাধ্যমে করা সেই পোস্ট শেয়ার করে প্রচার চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য সংস্কৃতি দফতর একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি দফতর যা রাজ্যের কর দাতা জনগনের টাকায় পরিচালিত। তাহলে, সেই দফতর একটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রচার করে কি করে? না কি এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতরেরও তৃণমূলীকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে?

একটা সরকারি দফতর কে নির্বাচনের আগে মাননীয়া তার রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠনে পরিণত করে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রচারে কাজে লাগাচ্ছেন যা অসাংবিধানিক।

আমি অবিলম্বে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও সাথে মহামান্য রাজ্যপালের ও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই এবং এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি করছি। প্রয়োজনে এই ঘটনার জন্য ওই দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার সাথে সাথে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। ”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande