
আগরতলা, ৩ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরায় মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমেই গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। গত সাত বছরে বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেসের আইন, মানবাধিকার ও আরটিআই সেল।
সোমবার কংগ্রেসের এই সেলের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে। অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন কার্যত তার অস্তিত্বের ন্যূনতম দায়িত্বও পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। স্মারকলিপিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংঘটিত একাধিক ভয়াবহ ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যা রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে তুলেছে বলে কংগ্রেসের দাবি।
কংগ্রেসের আইন ও মানবাধিকার সেলের তরফে আরও বলা হয়েছে, মহিলাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ত্রিপুরায় ১৪৪টি ধর্ষণ, ৩১টি মহিলা হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত নারী-নির্যাতনের মোট ৯,৩০৮টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানই রাজ্যের নারীদের নিরাপত্তাহীনতার ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরছে বলে কংগ্রেসের দাবি।
এছাড়াও, সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। অভিযোগ, সংবাদ প্রকাশ বা প্রশ্ন তোলার দায়ে একাধিক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা নিয়েছে।
মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ— “এই কমিশন আজ শাসকদলের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। তার নীরবতা অপরাধীদের সাহস জুগিয়েছে।” কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ