
আগরতলা, ৩ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরার মেডিকেল কলেজগুলির সেমিস্টারের পরীক্ষায় শোচনীয় ফলাফল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। সোমবার জিবিপি হাসপাতালে একাধিক নতুন অবকাঠামো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার জিবিপি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিল্ডিং, সংক্রামক রোগ কেন্দ্র ও ২০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষ ওয়ার্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে জিবিপি হাসপাতালের কে.এল.এস. অডিটোরিয়ামে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট, লখনৌ–এর সঙ্গে টেলি মেডিসিন সংযোগ ও আন্তঃবিভাগীয় কল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিল্লি থেকে এইমস-এর অধিকর্তা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে রাজ্যে হাতেগোনা কয়েকটি মেডিকেল আসন থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৪০০-তে দাঁড়িয়েছে। এটি আমাদের গর্বের বিষয়। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে টিএমসি-তে আরও ৫০টি নতুন মেডিকেল আসন বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে, শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া বাকি।”
তবে এই ইতিবাচক অগ্রগতির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাম্প্রতিক সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে। তিনি বলেন, “৪০০আসনের মধ্যে পাশের হার এত নিচে নেমে যাওয়া উদ্বেগজনক। কেন এমন ফলাফল হল, তা খুঁজে বের করতে হবে। জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো কোন অবস্থাতেই চলবে না।” প্রয়োজনে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দফতরের সচিব কিরণ গিত্তে, এজিএমসি-এর অধ্যক্ষ অনুপ কুমার সাহা, মেডিকেল সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তী, অধিকর্তা ডাঃ অঞ্জন দাস, মেডিকেল এডুকেশনের আধিকারিক ডাঃ এইচ.পি. শর্মা এবং ওএনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেট ম্যানেজারসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ