
ঝাড়গ্রাম, ৪ নভেম্বর (হি.স.) : নাবালিকা মায়ের সদ্যোজাত শিশুকন্যা সন্তানকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ঠাকুমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পরেই বেলিয়াবেড়া থানার সেই গ্রামেই শুরু হয়েছে লিঙ্গবৈষম্য রোধে সচেতনতামূলক উদ্যোগ। গোপীবল্লভপুর–২ ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সোমবার ও মঙ্গলবার দু’দিন ধরে চলেছে ধারাবাহিক সচেতনতা শিবির। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কিংশুক রায়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, সদ্যজাত কন্যা শিশুকে হত্যার চেষ্টার ঘটনার পরই ওই গ্রামকে বেছে নেওয়া হয় লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও মানবিকতার বার্তা পৌঁছে দিতে। দুই দিন ধরে মহিলাদের বোঝানো হয়েছে কিশোরী গর্ভাবস্থা ও বাল্যবিবাহের কুফল, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং কন্যা সন্তান রক্ষার গুরুত্ব।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কিংশুক রায় বলেন, “আমরা নিয়মিত অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা করি। তবে এই ঘটনার পর বিশেষভাবে ওই গ্রামকেই বেছে নিয়েছি। কন্যা সন্তান রক্ষা, কিশোরী গর্ভাবস্থা ও বাল্যবিবাহ রোধ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ চালাব।” অন্যদিকে, চার দিন পুলিশি হেফাজতের পর মঙ্গলবার অভিযুক্ত ঠাকুমাকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে দুধে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘থাইমেড’ জাতীয় কীটনাশক।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে বেলিয়াবেড়া থানার এক গ্রামে আট দিনের কন্যা শিশুকে দুধে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ ওঠে। নাবালিকা মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে শিশুর ঠাকুমাকে। সোমবার চেন্নাই থেকে ফিরেছেন শিশুটির বাবা, যাঁকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ঠাকুমা অবশ্য পুলিশকে জানিয়েছেন, একাই এই কাজ করেছেন, ছেলের কোনও ভূমিকা নেই।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো