ভাঙড়ে আত্মঘাতী যুবক! এসআইআর আতঙ্কে এই আত্মহত্যা, অভিযোগ স্ত্রীর
ভাঙড়, ৫ নভেম্বর (হি. স.): এসআইআর আবহে রাজ্যে ফের আত্মহত্যার ঘটনা। এবারের ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের জয়পুর গ্রামে। মৃত যুবকের নাম সফিকুল গাজী (৩৫)। বুধবার সকালে নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সফিকুলের।
ভাঙড়ে আত্মঘাতী যুবক! এসআইআর আতঙ্কে এই আত্মহত্যা, অভিযোগ স্ত্রীর


ভাঙড়, ৫ নভেম্বর (হি. স.): এসআইআর আবহে রাজ্যে ফের আত্মহত্যার ঘটনা। এবারের ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের জয়পুর গ্রামে। মৃত যুবকের নাম সফিকুল গাজী (৩৫)। বুধবার সকালে নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সফিকুলের। গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সফিকুল গাজী বিয়ের পর থেকে ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে থাকতো। নিজের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ঘুসিঘাটা এলাকায় হলেও, নিজের বাবা মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। পেশায় ফুচকা বিক্রেতা ছিলেন।

নিজের পৈতৃক বাড়িতে যাবতীয় ডকুমেন্টস আনতে গেলে তাঁকে দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনীয় সঠিক ডকুমেন্টস না থাকার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে দাবি মৃতের স্ত্রীর। আর সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি সফিকুলের স্ত্রী মরিদা বিবির। তিনি বলেন, এসআইআর আতঙ্কে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আসে উত্তর কাশিপুর থানা পুলিশ। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাও আসেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। তিনিও দাবি করেন এসআইআর আতঙ্কের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন সফিকুল। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।

এদিকে মৃত সফিকুল গাজীর ভাই কুতুবুদ্দিন গাজীর দাবি, এসআইয়ের আতঙ্কে মৃত্যু হয়নি ভাইয়ের। স্বামী স্ত্রীর অশান্তির কারণেই আত্মহত্যা করেছে সফিকুল, বলে দাবি করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে বাবার নাম রয়েছে, তাহলে ভাইয়ের আত্মহত্যা করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দাম্পত্য কলহের কারণেই এই মৃত্যু। আর তা ধামা চাপা দিতে এসআইআর আতঙ্কের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করেন, এসআইআর নিয়ে মৃত্যু হয়নি, পারিবারিক অশান্তির কারণেই মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সঠিক কীভাবে মৃত্যু হল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande