২৯ ডিসেম্বর অসম সফরে অমিত শাহ, বটদ্ৰবার প্ৰকল্পস্থল পরিদৰ্শন মন্ত্ৰী পীযূষ-কেশবের
নগাঁও (অসম), ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : আগামী ২৯ ডিসেম্বর অসম সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওইদিন তিনি অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থান বটদ্ৰবা থানের ঐতিহ্যমণ্ডিত আকাশীগঙ্গার তীরে নবনিৰ্মিত বটদ্ৰবা প্ৰ
বটদ্ৰবার প্ৰকল্পস্থল পরিদৰ্শন মন্ত্ৰী পীযূষ হাজরিকার, পাশের ছবি নিৰ্মীয়মাণ বটদ্ৰবা প্ৰকল্পের


নগাঁও (অসম), ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : আগামী ২৯ ডিসেম্বর অসম সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওইদিন তিনি অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থান বটদ্ৰবা থানের ঐতিহ্যমণ্ডিত আকাশীগঙ্গার তীরে নবনিৰ্মিত বটদ্ৰবা প্ৰকল্পের উদ্বোধন করবেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আগমনের আগে আজ শনিবার আকাশীগঙ্গার তীরে নিৰ্মীয়মাণ বটদ্ৰবা প্ৰকল্পের কাজকর্মের খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যের দুই পরিষদীয় মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা এবং কেশব মহন্ত। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক রূপক শৰ্মা, জিতু গোস্বামী এবং শশীকান্ত দাস। ছিলেন নগাঁওয়ের জেলাশাসক দেবাশিস শৰ্মা, পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা, লোকনিৰ্মাণ (পূর্ত) সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক এবং কৰ্মচারীবৃন্দ।

সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বর্তালাপে মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা কংগ্ৰেসের সমালোচনা করে বলেন, ‘কংগেস তাদের শাসনামলে অসমের সর্বিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ করেছিল। এখন তারা আবার রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ করার চিন্তায় নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থানে কোনও অপরিচিত মানুষ যদি হাত দেয়, তা-হলে তাদের ক্ষমা করা হবে না। কেউ যদি এর আশপাশ এলাকায় জবরদখল করে বসে থাকে, তা-হলে এখনই আগেভাগে তাদের সরে যাওয়া সংশ্লিষ্টদের জন্য মঙ্গলজনক।’

আগামী ২৯ ডিসেম্বর নবনির্মিত ঐতিহাসিক বটদ্ৰবা প্ৰকল্পটি ভক্ত-জনসাধারণের দর্শনের জন্য উদ্বোধন করবেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰী অমিত শাহ। ওইদিন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰীর উপস্থিতিতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান যেমন নামকীৰ্তন, গায়ন-বায়ন ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰী অমিত শাহের উপস্থিতিতে আয়োজিত সমাবেশে নগাঁও, বটদ্ৰবা, রহা, বঢ়মপুর, জাগিরোড, কলিয়াবর সহ সংলগ্ন বিধানসভা এলাকার কমপক্ষে ৬০ হাজার ভক্তপ্রণ জনসাধারণ অংশগ্রহণ করবেন।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্ৰুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰী অমিত শাহ বহু প্ৰত্যাশিত বটদ্ৰবা প্ৰকল্পের নিৰ্মাণকার্যের শুভারম্ভ করেছিলেন। সেদিন থেকে নিৰ্মীয়মাণ এই প্ৰকল্পে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু গুরুর আসন, সত্ৰীয়া সংস্কৃতি সংবলিত বিভিন্ন কারুকার্য খচিত অতিথিগৃহ, দেববাদ্য তালের সাজ কলাকেন্দ্ৰ (প্রেক্ষাগৃহ), শ্রীখোলের সাজে গবেষণা কেন্দ্ৰ, নৌকার আদলে কৌশল বিকাশ কেন্দ্ৰ, জাঁপির আদলে নাটমন্দির প্রভৃতির কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।

অসমিয়া বৈষ্ণব শিরোমণি শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থান বটদ্ৰবা থানকে বিশ্বের ধৰ্মীয় ও আধ্যাত্মিক গবেষণার ক্ষেত্ৰ হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প নিয়ে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জবরদখলমুক্ত ঐতিহ্যমণ্ডিত আকাশীগঙ্গার তীরে ১৬০ বিঘা ভূমিতে প্ৰায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নিৰ্মাণ করা হচ্ছে বটদ্ৰবা প্ৰকল্প।

ওম কনস্ট্রাকশনের তত্ত্বাবধানে নিৰ্মীয়মাণ বটদ্ৰবা প্ৰকল্পে স্থানীয় নানা প্রজাতির মূল্যবান ও ওযধি গাছগাছালির চারা রোপণ করে প্ৰকৃতিক পরিবেশ সুন্দর করার প্ৰচেষ্টা চলছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande