
উত্তর ২৪ পরগনা, ১৭ ডিসেম্বর (হি স): পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে যাবজ্জীবন সাজা হল দোষীদের। বুধবার বারাকপুর আদালত এই সাজা শুনিয়েছে। অমিত পণ্ডিত, সঞ্জীব পণ্ডিত, জিয়ারুল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল হল। এছাড়াও এক লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর এই সাজা শোনানো হল। রায় শুনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনুপম দত্তের স্ত্রী।
খুনের ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হয় শুটারকে। তার মোবাইলের সূত্র ধরেই আগরপাড়ার বাসিন্দা বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিতের নাম জানতে পারে পুলিশ। তাঁকে বর্ধমানের কালনা থেকে নিয়ে এসে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে গ্রেফতার করা হয়। শুটার অমিত ও সঞ্জীব সম্পর্কে আত্মীয়। ধৃত দু’জনকে জেরা করে বহু তথ্য পায় পুলিশ।
মামলা চলাকালীন কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন সঞ্জীব। হাই কোর্টের নির্দেশে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান সঞ্জীব। সোমবার তিনজনেই বারাকপুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারকের নির্দেশের পরই আদালত থেকে সঞ্জীবকে ফের গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সকাল থেকেই বারাকপুর আদালত চত্বরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল। দুপুরে বিচারক এই সাজা শোনান। খুন, খুনের চক্রান্ত, অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত তাঁদের বুধবার করা হয়েছিল। আদালতের রায় শুনে স্বস্তি পেয়েছেন অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। তিনি বলেন, “আমরা চাইছিলাম আরও কঠোর শাস্তি। তবে আদালত যা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমরা আইন ও আদালতের উপর আস্থা রাখি।”
২০২২ সালের ১৩ মার্চ। সেদিন আগরপাড়া স্টেশন রোডে পোষ্যর জন্য সন্ধ্যায় স্কুটিতে চেপে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। তখনই প্রকাশ্যে পিছন থেকে পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত