
কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর (হি. স. ) : এসআইআর নিয়ে ফের বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি একহাত নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকেও। বিজেপি-র সহযোগী সংস্থা হিসাবে চিহ্ণিত করেন কমিশনকে।
অভিষেকের বক্তব্য, যেভাবে দু'বছরের এসআইআর এর কাজকে জোরজবরদস্তি করে দু'মাসে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, অমানসিক চাপের মুখে একের পর এক বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন তার দায় কে নেবে, এদিন সেই প্রশ্নও তোলেন অভিষেক।
বুধবার সাংবাদিকদের কাছে তাঁর অভিযোগ, যারা বাংলাকে খাটো করতে অনুপ্রবেশকারীদের আঁতুরঘর বলে দাগিয়ে দিয়েছিল, তাদের দাবিই এ বার কার্যত খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অভিষেকের কথায়, “বিজেপির নেতারা বলেছিল দেড় কোটি রোহিঙ্গার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। অর্থাৎ দেড় কোটি মানুষ নাকি এ রাজ্যে অবৈধভাবে থাকে। বিজেপির সেই কথা তো মুখ থুবড়ে পড়েছে, ওদের সহযোগী সংস্থা নির্বাচন কমিশনই সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে।” তাঁর দাবি, এসআইআর হলে সাধারণত দেড় থেকে দু’ শতাংশ নামই বাদ পড়ে। “এ বারও মৃতদের যে ২৪ লক্ষ নাম বাদ গেছে বলে বলা হচ্ছে, সেটা মোট ভোটারের নিরিখে প্রায় ২ শতাংশই,” বলেন তিনি।
প্রকাশিত তালিকাকে ‘ড্রাফট’ বলেই উল্লেখ করেন তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, “এটা চূড়ান্ত তালিকা নয়। এখনও ৪৫-৫০ দিন ধরে সংশোধনের কাজ চলবে। অনেকে হয়তো বাইরে আছে। অনেকের নাম ফের যুক্ত হবে, ভুলত্রুটি ঠিক করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।”
বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, “বাংলাকে বদনাম করার রাজনীতি বহুদিন ধরেই চলছে। কিন্তু তথ্য আর পরিসংখ্যানের সামনে সেই অপপ্রচার টিকছে না।” এখানে না থেমে অভিষেক বলেন, যাঁরা বাংলাকে বাংলাদেশিদের আঁতুরঘর বলে কালিমালিপ্ত করেছিল, তাঁদের উচিত জনসমক্ষে এসে কান ধরে ১০ কোটি মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা চাওয়া।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত