
নামখানা, ১৭ ডিসেম্বর (হি. স.): রবিবার রাতে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসা হল উপকূলে। মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের নামখানার নারায়ণপুরের ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ১৩ ডিসেম্বর রাতে এফ বি পারমিতা নামক একটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়। ওই ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, ৫ জন নিখোঁজ ছিলেন। অভিযোগ ঘটনার দিন রাতে মাঝ সমুদ্রে ভারতীয় জলসীমায় মধ্যে ঢুকে বাংলাদেশি উপকূল রক্ষী বাহিনীর জাহাজ ওই ট্রলারটিতে ধাক্কা মারে। সেই সময় ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা জলে পড়ে যান। তাঁদের না বাঁচিয়ে জাহাজটি চলে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা জলে ভাসতে থাকেন। পরে পাশাপাশি থাকা আর একটি ট্রলারের মৎস্যজীবীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। তবে ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, ৫ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন।
বুধবার ভোর রাতে এফ বি পারমিতা ট্রলার টিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নামখানা নারায়ণপুর ঘাটের কাছাকাছি। তার পর ট্রলারের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দুইজন মৎস্যজীবীর দেহ (সঞ্জীব দাস ও রাজন দাস)। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবী। তাদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। মৎস্যজীবী সংগঠনের ট্রলার ও উপকূল রক্ষী বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে এই উদ্ধার কাজ করা হচ্ছে। বুধবার ভোর রাতে দেহ গুলিকে কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পরে সমস্ত মৎস্যজীবীরা তাদের ট্রলার নিয়ে সমুদ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে। বাংলাদেশি উপকূল রক্ষী বাহিনীর নির্মম কাণ্ডের প্রতিবাদে সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিরত থাকবে সমস্ত মৎস্যজীবী ট্রলার। কারণ এই ঘটনার পর সমস্ত মৎস্যজীবী সমুদ্রের মাছ ধরতে যেতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। ট্রলারের ভিতর থেকে দুজন মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার করে কাকদ্বীপ হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবী।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা