‘নাগরিকত্ব প্ৰমাণে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে’, হাইকোর্টে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয়
গুয়াহাটি, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : ‘নাগরিকত্ব প্ৰমাণ করতে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে। আমার কাছে যা প্রমাণিক তথ্য আছে, সম্মিলিতভাবে সে সব তথ্য মামলাকারী দুজনের কাছে নেই’, বক্তা রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার। উল্লেখ্য, শ্ৰীভূমি জেলার অন্তর্গত তফশিলি
রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার (ফাইল ফটো)


গুয়াহাটি, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : ‘নাগরিকত্ব প্ৰমাণ করতে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে। আমার কাছে যা প্রমাণিক তথ্য আছে, সম্মিলিতভাবে সে সব তথ্য মামলাকারী দুজনের কাছে নেই’, বক্তা রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার।

উল্লেখ্য, শ্ৰীভূমি জেলার অন্তর্গত তফশিলি জাতি সংরক্ষিত রাতাবাড়ি (অধুনা রামকৃষ্ণনগর)-র বিধায়ক বিজয় মালাকারের নাগরিকত্বকে চ্যালঞ্জ করে গৌহাটি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন জনৈক ব্রজগোপাল সিনহা এবং বিজয়কুমার কানু। তিনি ‘ভারতীয় নাগরিক নন’ দাবি করে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজেরও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ১ নম্বর তফশিলি জাতি সংরক্ষিত রাতাবাড়ি আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন এবং ২০২১ সালে অসম বিধানসভা নির্বাচনে ওই আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজয় মালাকার।

গুয়াহাটি উচ্চ আদালতে দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ফোনে ডুমডুমায় অবস্থানরত বিধায়ক বিজয় মালাকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে আমার নাগরিকত্বকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছে, সে সম্পর্কে সরকারিভাবে লিখিত কোনও চিঠি বা নোটিশ আমি পাইনি। সোশাল মিডিয়ার বদৌলতে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তাই এখনই এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে আমাকে ভারতের নাগরিক হিসেবে প্ৰমাণ করতে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে। আমার কাছে যা প্রামাণিক তথ্য আছে, আমি নিশ্চিত, সম্মিলিতভাবে সে সব তথ্য মামলাকারী দুজনের কাছে নেই। আমার কাছে দাদু এবং বাবার ১৯৫৭ সালের পাসপোর্ট আছে। আমার বাবা সিপিডব্লিউডির একজন কর্মচারী ছিলেন। এর তথ্যও আছে। এছাড়া আরও বহু প্রামাণিক তথ্য সবলিত দলিল আমার কাছে মজুত আছে। প্রয়োজন হলে সময়মতো সে সব প্রকাশ করব।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যানগরের (রামকৃষ্ণনগর বিধানসভা এলাকাধীন) বাসিন্দা যে দুই ব্যক্তি আমার নাগরিকত্বকে চ্যালেঞ্জ করে গৌহাটি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন, আমার বিশ্বাস, স্বইচ্ছায় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে এই আবেদন করেননি। কার অঙ্গুলি হেলনে তাঁরা রিট পিটিশন দাখিল করেছেন, তা জানতে আমার বাকি নেই। এ সব করে আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবেন না অদৃশ্য ব্যক্তিটি। বরং তাঁর ক্যারিয়ারের পতন হতে আর বেশিদিন নেই, এটা জোর গলায় বলতে পারি,’ বলেন বিধায়ক বিজয় মালাকার।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande