
কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর (হি স): শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই ভোটারদের নোটিস পাঠানো শুরু করল নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, ২০০২ সালের (রাজ্যে এর আগে শেষ এসআইআর হয়েছিল ওই বছরে) ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র দেখাতে পারেননি ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৭৩ জন ভোটার। ওই ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের প্রত্যেকের কাছে নোটিস যাবে। নোটিস দেওয়ার পর সাত দিন সময় দেওয়া হবে ভোটারদের। কোথায়, কখন শুনানি হবে, তা নোটিসেই বলে দেওয়া হবে।
‘নো ম্যাপিং’ শ্রেণিভুক্ত ভোটারদের পাশাপাশি আরও এক কোটির বেশি ভোটারকে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কমিশনের। এই শ্রেণিতে রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটার। তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় রয়েছে। তবে তাঁদের এনুমারেশন আবেদনপত্রে পাওয়া তথ্য সন্দেহজনক ঠেকছে কমিশনের। সেই কারণে তাঁদের তথ্য যাচাই করে দেখবেন বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-রা। যাচাইপ্রক্রিয়ার পরও যে সমস্ত ভোটারকে নিয়ে কমিশনের সন্দেহ দূরীভূত হবে না, কেবল তাঁদেরই শুনানির জন্য ডাকা হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৩২ লক্ষ আনম্যাপড ভোটারের শুনানির নোটিস জারি করা হতে পারে ৷ যাদের ২০০২ সালে হওয়া এসআইআর-এর তথ্য অনুযায়ী ভোটার তালিকায় নাম পাওয়া যায়নি ৷ অথচ সেই সমস্ত নাম ২০২৬ সালের খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে ।
বুধবার ওই আধিকারিক বলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ এই নয় যে তাঁকে শুনানির জন্য ডাকা হবে না ৷ যদিও তাদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। ইআরও-রা ১৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে শুনানির নোটিশ জারি করা শুরু করবেন৷ শুনানির জন্য নোটিশের দুটি করে প্রতিলিপি জারি করা হবে। যার একটি সংশ্লিষ্ট ভোটারকে দেওয়া হবে, অন্যটি ভোটারের স্বাক্ষর পাওয়ার পর বুথ লেভেল অফিসারের বা বিএলও-র কাছে থাকবে। নোটিস পাওয়ার পর ভোটারদের শুনানির জন্য উপস্থিত হওয়ার জন্য কিছু সময় দেওয়া হবে৷ তবে তাও শীঘ্রই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত