শুভেন্দুর নিজের বুথেই এসআইআর গেরোয় নাজেহাল প্রাক্তন দুই সেনা কর্মীসহ চার ভোটার
নন্দীগ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর ( হি. স.)- ভারতীয় হয়েও আবার ভারতীয় প্রমাণের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবার ৭৯ নম্বর বুথে ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়ে
নন্দীগ্রাম


নন্দীগ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর ( হি. স.)- ভারতীয় হয়েও আবার ভারতীয় প্রমাণের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবার ৭৯ নম্বর বুথে ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই বুথে মোট ৭১১ জন ভোটারের মধ্যে ১১ জনের নাম বাদ পড়েছে। নির্বাচন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ১১ জনের মধ্যে কেউ মৃত, আবার কেউ কখনও ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তই করেননি।তবে বাকি ৭০০ জনের মধ্যে চারজনকে পুনরায় শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। বিএলও সূত্রে খবর, ২০০২ সালের নথিতে এই চারজনের সঙ্গে তাঁদের বাবার নামের কোনও লিংক পাওয়া যাচ্ছে না। আশ্চর্যের বিষয়, যাঁদের নাম তালিকায় নেই, তাঁদের সন্তানদের নাম কিন্তু ভোটার লিস্টে রয়েছে।এই চারজনের মধ্যে প্রদীপ জানা ও প্রদীপ প্রধান দু’জনেই প্রাক্তন সেনা কর্মী। তাঁদেরও ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য শুনানিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রদীপ প্রধান জানান, দশ বছর বয়সে বাবা-মা দু’জনকেই হারান তিনি। ১৯৯৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেই সময় সেনা কর্মীদের ভোটাধিকার না থাকায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ওঠেনি। অথচ ২০১৯ ও ২০২৩ সালে তিনি ভোট দিয়েছেন।আরও এক ভোটার সন্তোষ রানা পেশায় টোটো চালক। তাঁকেও শুনানির নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রী সীমা রানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে নন্দীগ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন সন্তোষ। এখানেই বিয়ে, সংসার ও ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়। তবুও আজ তাঁকে ভারতীয় প্রমাণ করতে হচ্ছে।শুভেন্দু অধিকারীর নিজের বুথেই এমন ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া।

হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়




 

 rajesh pande