কমলপুরে ইটভাটায় চিমনি ভেঙে নিহত ৫ শ্রমিক, আহত ৩, জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা
কমলপুর (ত্রিপুরা), ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : ধলাই জেলার কমলপুরের নাকফুলে ইটভাটায় চিমনি ভেঙে পড়ে নিহত পাঁচ শ্রমিক ও আহত তিন শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসন। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ধলাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোট ২৫.১৬ ল
কমলপুরের ইটভাটা


কমলপুর (ত্রিপুরা), ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : ধলাই জেলার কমলপুরের নাকফুলে ইটভাটায় চিমনি ভেঙে পড়ে নিহত পাঁচ শ্রমিক ও আহত তিন শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসন। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ধলাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোট ২৫.১৬ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা মঞ্জুর করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলিকে প্রত্যেককে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, গুরুতর ও আংশিকভাবে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তাও অনুমোদিত হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমদফতরের তরফ থেকেও এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই শোকাবহ মুহূর্তে শ্রমদফতর ও জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের পাশে দৃঢ়ভাবে রয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সময়োপযোগী ত্রাণ, আর্থিক সহায়তা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানবিক দায়িত্ব পালনে প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমার নাকফুল এলাকায় এবিসি ব্রিক ইন্ডাস্ট্রির চিমনি হঠাৎ ধসে পড়ে পাঁচজন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। বুধবার এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিহতরা হলেন- সুবল দেবনাথ, পিঙ্কু শীল, অনিল গৌতম, বিধু শর্মা ও সজল মালাকার। আহতরা হলেন হরকিশ সরগ, হাঙ্কিশ চৌহান এবং সন্তোষ গুপ্তা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কাজ চলাকালীন হঠাৎ করেই ইটভাটার চিমনিটি ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে কয়েকজন শ্রমিক গুরুতরভাবে আহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, দমকল বাহিনী, এসডিআরএফ ও পুলিশ। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক শোকবার্তায় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

এদিকে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইটভাটায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকভাবে মানা হয়েছিল কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande