জল সংরক্ষণে জোর, কৃষিতে স্বনির্ভরতার পথে ত্রিপুরা : কৃষিমন্ত্রী রতনলাল
আগরতলা, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : প্রধানমন্ত্রী কৃষি সঞ্চয়ী যোজনা ২.০-এর আওতায় ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মোট ৩২ হাজার হেক্টর কৃষিজমিকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের ১৮টি ব্লকে মোট ৪ লক্ষ ৬৯ হা
পর্যালোচনা বৈঠক


আগরতলা, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : প্রধানমন্ত্রী কৃষি সঞ্চয়ী যোজনা ২.০-এর আওতায় ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মোট ৩২ হাজার হেক্টর কৃষিজমিকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের ১৮টি ব্লকে মোট ৪ লক্ষ ৬৯ হাজারেরও বেশি শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলায় প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত পর্যালোচনা বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।

এদিন প্রজ্ঞা ভবনে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সঞ্চয়ী যোজনা ২.০ নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আটটি জেলার জেলা সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি, কৃষি দফতরের সচিব অপূর্ব রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠকে মূলত বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও তা কৃষিকাজে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে কীভাবে আত্মনির্ভর করা যায়, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পর্যালোচনা বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সঞ্চয়ী যোজনা ২.০-এর অধীনে রাজ্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অমৃত সরোবর সৃষ্টি, পুরাতন জলাশয়গুলির সংস্কার, জল নিষ্কাশনের জন্য চ্যানেল নির্মাণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের ফলে মোট ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৯১টি শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রী আরও জানান, এই যোজনার আওতায় রাজ্যে মোট ১৯টি প্রকল্প ও ৪৮টি উপ-প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের মোট ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ১৮টি ব্লকে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে মাত্র ২২টি ব্লক খাদ্যে স্বয়ংভর ছিল। গত সাত বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০টিতে। যদিও চলতি বছরের সমীক্ষার কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি, তবে এ বছর আরও পাঁচটি ব্লক খাদ্যে স্বয়ংভর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, ২০২৮-২৯ অর্থবর্ষের মধ্যে রাজ্য খাওয়ার আলু উৎপাদনে সম্পূর্ণ স্বয়ংভর হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকেই রাজ্য আলু বীজ উৎপাদনে স্বয়ংভরতা অর্জন করেছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande