
কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর (হি. স. ) : বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিন্দু নির্যাতন, ইসলামিক র্যাডিকালাইজেশন এবং তার সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর পড়ছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলল রাজ্য বিজেপি।
শুক্রবার সল্ট লেকস্থিত রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অ্যাডভোকেট দেবজিৎ সরকার বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিধন এবং হিংসাত্মক কাজ চলছে, তা কোনওভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
ছায়ানট ভবনে আগুন লাগানো, লালন ফকির ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি ভাঙচুর, হিন্দু নাগরিকদের প্রকাশ্যে হত্যা ও পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলি একতরফা ইসলামিক র্যাডিকালাইজেশনেরই ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। এই ঘটনাগুলিকে তিনি সরাসরি ‘পোগ্রম’ এবং ‘এথনিক ক্লিনজিং’-এর পর্যায়ে পড়ছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “ঠিক একই ধরণের পরিস্থিতি গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, মালদা, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, মোথাবাড়ি-সহ একাধিক এলাকায় বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরছাড়া করা, ধর্মীয় চিহ্ন দেখে টার্গেট করা, মন্দির ভাঙচুর এবং সাংস্কৃতিক অপমানের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কার্যত নীরব থেকেছে এবং শাসক তৃণমূল কংগ্রেস একতরফা তোষণের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।”
তিনি বলেন, ২০১১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে পশ্চিমবঙ্গে ইসলামিক র্যাডিকালাইজেশনকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শুধু হিন্দুরাই নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সমস্ত সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যদি ২০২৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুদের ভবিষ্যৎ আরও সংকটের মুখে পড়বে এবং রাজ্য কার্যত বাংলাদেশ-সদৃশ পরিস্থিতির দিকে এগোবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত