স্বাধীনতার পর প্রথম পাকা রাস্তার শিলান্যাস, মোবারকপুর কালিতলায় শেষ হলো দীর্ঘদিনের ভোগান্তি
মালদা, ১৯ ডিসেম্বর ( হি. স.) : বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অবশেষে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর–১ নম্বর ব্লকের মোবারকপুর কালিতলা এলাকায়। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির সফলতায় স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকা র
নিউ রোড


মালদা, ১৯ ডিসেম্বর ( হি. স.) : বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অবশেষে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর–১ নম্বর ব্লকের মোবারকপুর কালিতলা এলাকায়। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির সফলতায় স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকা রাস্তার শিলান্যাস হল। পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাস্তার শিলান্যাস হতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে গোটা এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেংড়িয়া পাড়া এসএসকে হয়ে কালিতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে কখনও পাকা হয়নি রাস্তাটি। মাঝেমধ্যে ইট বসানো হলেও তা ভেঙে গিয়ে বর্ষাকালে রাস্তা কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠত। অথচ এই রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী একাধিক এলাকার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা। ছাত্রছাত্রী, রোগী ও সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই চরম সমস্যার মুখে পড়তেন। প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা।বারবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কিছুদিন আগে রাস্তা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। অবশেষে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তথা মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম। তাঁর উদ্যোগেই শুক্রবার শিলান্যাস সম্পন্ন হয়।পথশ্রী প্রকল্পে ১.৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে ৮৫ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবিউল ইসলাম, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা নিকুঞ্জ কুমার সাহা, তৃণমূল নেত্রী সালমি খাতুন-সহ অন্যান্যরা। মানুষের আনন্দ ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দ্রুত নির্বাচন ঘোষণার আগেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গেছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়




 

 rajesh pande