
কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর (হি স): ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় আরও কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। চরম অরাজক পরিস্থিতির জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় আরও কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে।
নতুন করে বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় কড়া নজর রাখছে দিল্লি। শুধু তাই নয়, অশান্তির আঁচ যাতে কোনওভাবে বাংলায় এসে না পড়ে সেজন্য সতর্ক সীমান্তরক্ষী বাহিনীও। কার্যত নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিটি জনপদ। থার্মাল ক্যামেরা, নাইটভিশন ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
‘ইনকিলাব’ মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর সেই উত্তেজনা অগ্নিগর্ভ আকার নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’-সহ একাধিক অফিসে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে মধ্যরাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর বাড়িও।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর এবং মালদহ মিলিয়ে ছয় জেলায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এরমধ্যে ১৯৫ কিলোমিটার সীমান্তে নদী, জমির সমস্যার জন্য কাঁটাতারের বেড়া নেই।
আবার নদীর পারে কাঁটাতার ফেলা থাকলেও তাতে নিরাপত্তা পুরোপুরি সুনিশ্চিত হয়নি। ওই এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) টহল বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সীমান্ত রয়েছে কোচবিহার জেলায়। ৫৫০ কিলোমিটার।
এরপর দক্ষিণ দিনাজপুর, ২৫০ কিলোমিটার। উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে ২২৭ সীমান্ত। এই বিরাট সীমান্তের দুই দিনাজপুর এবং মালদার অধীনে থাকা প্রায় ৭০০ কিলোমিটার এবং কোচবিহারের ৫৫০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত