
বিশালগড় (ত্রিপুরা), ১৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : সিপাহীজলা জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনায় শুক্রবার সফর করলেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডি নাল্লু। এই সফরে তিনি সীমান্ত গ্রাম, টিটিএএডিসি ভিলেজ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিএসএফ আউটপোস্ট এবং বর্ডার রোডের পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন।
দিনের শুরুতে রাজ্যপাল পরিদর্শন করেন দয়ালপাড়া টিটিএএডিসি ভিলেজ। জলজলাইয়া এস.বি. স্কুল মাঠে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এরপর তিনি কুলুবাড়ি পূর্বপাড়া জে.বি. স্কুল এবং বক্সনগর বিএসএফ আউটপোস্ট পরিদর্শন করেন। সেখানে ৪৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডেন্ট অজিত কুমার সীমান্ত নিরাপত্তার সার্বিক চিত্র রাজ্যপালকে তুলে ধরেন। বক্সনগর থেকে সীমান্ত সড়ক হয়ে তিনি যান কলসীমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ১৮৫ নম্বর গেট পরিদর্শনে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন তিনি।
কমলনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও যান রাজ্যপাল। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি স্বাস্থ্য পরিষেবার মান ও পরিকাঠামো পর্যালোচনা করেন। এরপর তিনি মহিলা স্ব-সহায়ক দল পরিচালিত ‘বসুন্ধরা বহুমুখী সমবায় সমিতি’ পরিদর্শন করেন। সমবায়ের সভানেত্রী মুক্তা নাহার সমবায়ের উৎপাদিত পণ্য ও কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজ্যপালকে জানান।
রাজ্যপাল পরে জি-২৯ থেকে জি-৩২ নম্বর সীমান্ত গেট পর্যন্ত এলাকা এবং এন.সি.নগর বিএসএফ আউট পোস্ট পরিদর্শন করেন। সেখানে ডি.আই.জি. ভি.কে. কাসনা এবং ৮১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডেন্ট রাকেশ সিনহা সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রাজ্যপাল বলেন, সীমান্ত এলাকায় কৃষি, উদ্যানপালন, বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট এবং বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। তিনি আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা গ্রহণ, শিশুদের স্কুলে পাঠানো এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের উৎসাহিত করেন।
সফরের পুরো সময়ে রাজ্যপালের সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন, জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, সোনামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ