
আগরতলা, ১৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : শুধু ফিল্ম ইনস্টিটিউট নয়, পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে ত্রিপুরা সরকার। ইতিমধ্যেই প্রাথমিকভাবে প্রায় পঞ্চাশ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে শুক্রবার ত্রিপুরা ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব ডঃ পি কে চক্রবর্তী, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট কলকাতার ভাইস চ্যান্সেলর সমীরণ দত্ত সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগকে সামনে রেখেই রাজ্যের উন্নয়নপথ নির্ধারণ করা হচ্ছে। বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গত ৩৫ বছর শুধু মিছিল বড় করার রাজনীতি হয়েছে। আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর কাজ করছি, মানুষ তা দেখছেন।”
ফিল্ম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজস্ব দফতরের অধীন নির্বাচিত জমিটি বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি বিকল্প স্থানও বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ফিল্ম ও টেলিভিশন ইউনিভার্সিটি গড়তে বড় পরিমাণ জমির প্রয়োজন হবে, কারণ এখানে শুটিং সেটআপ থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের সম্প্রসারণ—সবই থাকবে।” রাজ্যে চলচ্চিত্র শিক্ষার পরিসর বাড়াতে ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ