পরিযায়ী হতে হচ্ছে কেন, তথাগতের প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক সামাজিক মাধ্যমে
অশোক সেনগুপ্ত কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর (হি. স. ) : “পরিযায়ী হতে হচ্ছে কেন, এই প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করা কি মমতা-রাজ্যে বারণ ?” প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের এই প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে নেটনাগরিকদের মধ্যে। সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্টের পর ২৪ ঘন্টায় সোমব
তথাগত রায়


অশোক সেনগুপ্ত

কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর (হি. স. ) : “পরিযায়ী হতে হচ্ছে কেন, এই প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করা কি মমতা-রাজ্যে বারণ ?” প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের এই প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে নেটনাগরিকদের মধ্যে। সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্টের পর ২৪ ঘন্টায় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২২৪টি প্রতিক্রিয়া এসেছে। রাত সাড়ে আটটায় সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৩৪২।

নিহত পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রানার দেহ গ্রামে ফিরল, পরিজনের দুঃখ, ক্ষোভ— একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরের এই শিরোনামের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “মৃত্যু সর্বদাই দুঃখের, হত্যা সর্বদাই নিন্দাযোগ্য। কিন্তু ডবল ডবল চাকরি, ত্রিশ হাজার খালি চাকরি, কি হল ? বছর বছর বাণিজ্য সম্মেলন, কি হল? সব ছেড়ে শেষে চপ আর ঘুগনি বেচে উপার্জন? আরো আছে। মনে পড়ে, হাসপাতালের ডোমের চাকরি - মৃতদেহ ঘাঁটার চাকরি, তাতে কত এম-এ পাশ দরখাস্ত করেছিল?

এইরকমই হতে থাকবে, যতদিন আমাদের মাননীয়া দিদিমা মসনদে থাকবেন। ওর চ্যালারা চাকরি দিতে পারবেও না, শুধু অজুহাত দেবে, প্রধানমন্ত্রী তো চাকরির কথা বলেছিলেন, পনেরো লক্ষ টাকার কথা বলেছিলেন তার কি হল? ধরে নিচ্ছি, কিছুই হল না । তাহলে ঘরের ছেলে দিদিমার আঁচলে মুখ লুকিয়ে ঘরে থাকলেই তো হয়, কষ্ট করে পরিযায়ী হবার দরকার কি?”

তথাগতবাবুর সমর্থনে প্রদীপ সরকার লিখেছেন, “উন্নয়নের বাংলায় এর রাজ্য থেকে পরিযায়ী হতে হয় কেন? নিকুস কুমার গিরি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের লোককে দক্ষিণে ও ঘেন্নার চোখে দেখতে শুরু করেছে। বেশি তেলাঙ্গানা তে। সেখানে বিজেপি নেই। ভারতের অর্থ নৈতিক উন্নতির মূল টেকনোলজি সেক্টর ও software। সেখানে কিন্তু হিন্দু ধর্মের আচার, বিচার, মন্দির গমন জনপ্রিয়। তার উল্টো পথে হাঁটলে, বংশদন্ড দেবে। নাহলে ঘরে থাকো। খুব ভালো luck থাকলে sector V -এর , ২৫০০০ বেতনের চাকরি।”

জয়ন্ত মুখার্জি লিখেছেন, “কমেন্টগুলো পড়ে মনে হচ্ছে রাজ্যটা যেভাবে চলছে সেভাবে চললে কিছু মানুষের আপত্তি নেই। ভালো,খুব ভালো,রাজ্যের উজ্জ্বল ভবিষ্যতই বটে।”

অন্যদিকে, শেখ মহম্মদ মাগডাম লিখেছেন, “ব্যাঙ্গালোরে বাথরুম পরিষ্কার করার অর্ডার দেওয়া হলো, একটা বাঙ্গালী ছেলে এলো বাথরুম পরিষ্কার করতে, ওর সাথে কথা বলে জানা গেল ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাস করে চাকরি না পেয়ে....”

পলাশ মজুমদার লিখেছেন, “নিজেই স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তার কিছুই হয়নি, তেমনই ধরে নিন মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন কিছুই হয়নি, যদি একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা না করতে পারেন তাহলে একটা ছোট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি করে পারবেন?”

সায়ন্তন দাস লিখেছেন, “দেশের সর্বত্রই বেকারত্বের চেহারাটা কমবেশি একই রকমl মোদী ২০১৪ সালে প্রতি বছরে দুই কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলl তার হিসেব দিতে পেরেছে?”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande