দেশকে অবৈধ বাংলাদেশিমুক্ত করার হুংকার অমিত শাহের
বড়দোয়া (নগাঁও, অসম), ২৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : ‘বৈষ্ণব শিরোমণি মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেব কেবল অসমের নয়, গোটা ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু। শ্রীমন্ত শংকরদেব চেয়েছিলেন এক ভারত, অসম তার অহিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই মহান আধ্যাত্মিক গুরুর জন্মস্থান থেকে আমি ঘোষণা করছি, স
ভাষণ দিচ্ছেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উপহার


নিবিড় উপভোগ সাংস্কৃতিক কাৰ্যক্ৰম


বড়দোয়া (নগাঁও, অসম), ২৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : ‘বৈষ্ণব শিরোমণি মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেব কেবল অসমের নয়, গোটা ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু। শ্রীমন্ত শংকরদেব চেয়েছিলেন এক ভারত, অসম তার অহিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই মহান আধ্যাত্মিক গুরুর জন্মস্থান থেকে আমি ঘোষণা করছি, সমগ্র দেশে বেছে বেছে বাংলাদেশি শনাক্ত করব, দেশকে বাংলাদেশিমুক্ত করে ছাড়ব।’ বক্তা কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক, মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থান নগাঁও জেলার অন্তর্গত বড়দোয়ায় ঐতিহ্যমণ্ডিত আকাশীগঙ্গার তীরে নবনিৰ্মিত আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বটদ্ৰবা প্ৰকল্প উদ্বোধন করে প্রায় ৬৫ হাজার ভক্তপ্রাণ জনসাধারণের উপস্থিতিতে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন অমিত শাহ।

বড়দোয়ায় বটদ্ৰবা প্ৰকল্প 'শ্ৰীমন্ত শংকরদেব আবিৰ্ভাব ক্ষেত্ৰ'-এর উদ্বোধন করে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের শ্ৰীচরণে প্ৰণাম জানিয়ে ভাষণ শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে জবরদখলদারদের কবলিকৃত শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থানে আজ এই ভব্য প্ৰকল্প নিৰ্মাণ করা হয়েছে। এটা আমাদের সকলের জন্য আনন্দের বিষয়। বটদ্ৰবা প্ৰকল্পের দ্বারোদ্ঘাটন করতে পারা আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের বিষয়।’

অমিত শাহ বলেন, বড়দোয়া অসমিয়া সত্তার জীবন্ত প্ৰতীক। অসমিয়া সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে এই প্ৰকল্প সহায়তা করবে। ৫০০ বছরের ঐতিহ্যের প্ৰতীক হয়ে থাকবে বটদ্ৰবা। তিনি বলেন, সমগ্ৰ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ধৰ্ম প্ৰচার করেছিলেন দুই আধ্যাত্মিক গুরু। বড়দোয়া থেকেই বৈষ্ণব ধৰ্মের নবজাগরণ হয়। এই প্ৰকল্পের ভূমি পূজন আমিই করেছিলাম। আজ তার উদ্বোধন করাটা আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়।

তিনি বলেন, মনীষী শংকরদেবের জন্মস্থানে বাংলাদেশিদের দাপাদাপি চলছিল। মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা এই ভূমিকে বাংলাদেশি মুক্ত করেছেন। কাজিরঙায়ও আমাদের সরকার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। বিগতদিনে কংগ্রেস সরকার আইএমডিটি আইনের বলে বাংলাদেশিদের রক্ষণাবেক্ষণ দিচ্ছিল। আমরা বেছে বেছে বাংলাদেশিদের শনাক্ত করব। বাংলাদেশিমুক্ত করব অসম সহ গোটা দেশকে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি অসমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈকে স্মরণ করেন। বলেন, গোপীনাথ বরদলৈ না থাকলে অসম আজ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে থাকত না। নেহরুকে চাপে ফেলে অসমকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ রাখতে পেরেছিলেন গোপীনাথ বরদলৈ।

কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰী বলেন, ‘এই দশ বছর অসমের বিকাশের স্বর্ণযুগ। ১১ বছরে ৩৬ বার অসম সফর করেছেন জনপ্রিয় প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিঙের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, অসম থেকে প্ৰতিনিধিত্ব করে প্ৰধানমন্ত্ৰী হয়েছিল মনমোহন সিং। কিন্তু প্ৰধানমন্ত্ৰী হিসেবে মাত্ৰ সাতবার অসম সফর করেছিলেন মনমোহন সিং।’

‘একদা অস্থির অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিগত ১১ বছরে শান্তি প্ৰতিষ্ঠা হয়েছে। আগে অসমে বন্দুক চলত, এখন শংকরদেব প্রচলিত নাম-প্ৰসঙ্গ চলবে। নব-বৈষ্ণব ধৰ্মের জন্য আজ এক বড় দিন, ঐতিহাসিক দিন। মোদীর নেতৃত্বে শান্তি প্ৰক্ৰিয়া তরান্বিত হয়েছে উত্তরপূ্র্বে। নরেন্দ্র মোদীর জন্য আজ বীর লাচিত বড়ফুকনকে চিনতে পরেছে দেশ। অসমিয়া স্বাভিমানের প্রতীক গামোছাকে জিআই ট্যাগের স্বীকৃতি দিয়েছে বিজেপি সরকার। অসমের বিকাশ ঘটাতে কেন্দ্রের মোদী সরকার দিয়েছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা।’

তিনি বলেন, ‘অসম এখন আন্দোলন-শূন্য হয়েছে। কেবল বিকাশ হয়। ভোট ব্যাংকের স্বাৰ্থে অসমিয়া সংস্কৃতি ধ্বংস করেছিল কংগ্রেস।’ প্রদত্ত ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতরত্ন গোপীনাথ বরদলৈ, রসরাজ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া, কনকলতাকে শ্ৰদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande