জয়দেব–কেন্দুলি মেলার আগে কাঁকসায় অজয় নদে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু
দুর্গাপুর, ৩১ ডিসেম্বর (হি.স.): দীর্ঘ জল্পনার অবসান। অবশেষে মকর সংক্রান্তির আগেই জয়দেব–কেন্দুলি মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্থে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকে অজয় নদে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হল। বুধবার সকাল থেকে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত
জয়দেব–কেন্দুলি মেলার আগে কাঁকসায় অজয় নদে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু


দুর্গাপুর, ৩১ ডিসেম্বর (হি.স.): দীর্ঘ জল্পনার অবসান। অবশেষে মকর সংক্রান্তির আগেই জয়দেব–কেন্দুলি মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্থে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকে অজয় নদে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হল। বুধবার সকাল থেকে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার কেন্দুলিতে আয়োজিত জয়দেব মেলা দেশ–বিদেশে সুপরিচিত। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এই মেলায় বাউল সাধকদের গান, নৃত্য ও লোকসংস্কৃতির এক অনন্য মিলনক্ষেত্র তৈরি হয়। কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে এই মেলায়।

পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত অজয় নদ। নদীর একদিকে বীরভূমের কেন্দুলি এবং অপরদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বিদবিহার গ্রাম। প্রতি বছর মেলা উপলক্ষে অজয় নদে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যার মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জয়দেব কেন্দুলিতে সহজে যাতায়াত করা সম্ভব হয়। মকর সংক্রান্তির সময় নদীর দুই তীরে মেলা বসে এবং হাজারের বেশি দোকানদার ব্যবসা করেন, যা স্থানীয় আর্থ-সামাজিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

তবে চলতি বছরে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের অনুমতি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। সেতু না হলে বিদবিহার ও আশপাশের এলাকার বহু মানুষের রুজি-রুটিতে টান পড়বে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপিও সরব হয়। মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।

এরপর বুধবার সকালে প্রশাসনের উদ্যোগে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, “মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, প্রতিবাদও হয়েছিল। তবে প্রশাসন কথা রেখেছে। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই এই সেতু তৈরির উদ্যোগ নেন এবং দ্রুত কাজ শুরু হয়েছে। আমরা তাঁদের কৃতজ্ঞ।”

অন্যদিকে বিজেপির দুর্গাপুর–বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, “কুম্ভমেলায় গঙ্গা–যমুনার ওপর একাধিক অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়। জয়দেব–কেন্দুলি মেলায়ও কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। এখানে অন্তত তিন থেকে চারটি অস্থায়ী সেতু প্রয়োজন। অথচ একটি সেতু তৈরিতেও রাজ্য সরকার গড়িমসি করেছে।”

অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি বিদবিহার-সহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের আশা, মেলার সময় যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে আর কোনও সমস্যা হবে না।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande