নলবাড়ি ও বাইহাটা স্টেশনের মধ্যে ডাবল লাইন সেকশন চালু
নলবাড়ি ও বাইহাটা স্টেশনের মধ্যে ডাবল লাইন সেকশন চালু
নলবাড়ি ও বাইহাটা স্টেশনের মধ্যে স্থাপিত ডাবল লাইনের পরিদর্শন সিআরএস-এর


গুয়াহাটি, ৩০ অক্টোবর (হি.স.) : নলবাড়ি ও বাইহাটা স্টেশনের মধ্যে নতুনভাবে স্থাপিত ডাবল লাইনের সতর্কতামূলক পরিদর্শন সম্পূর্ণ করেছেন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। মঙ্গলবারের পরিদর্শনে নলবাড়ি, ঘগ্রাপার, রঙিয়া জংশন, কেন্দুকোণা এবং বাইহাটা স্টেশন ইয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল। এনএফ সার্কলের সিআরএস সুমিত সিংঘল এবং তাঁর টিম টেলি কমিউনিকেশন, সিগন্যালিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিঙের কাজ এবং অন্যান্য সেফটি গিয়ারগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনের পর সিআরএস নতুন করে স্থাপিত রেলওয়ে লাইন দিয়ে ট্রেন পরিচালনের অনুমতি দিয়েছেন।

আজ বুধবার এক প্রেস বার্তায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এ খবর দিয়ে জানান, এই নতুন সেকশনটি চালু হওয়ার সাথে সাথে সমগ্র রুটটি, অর্থাৎ নিউ বঙাইগাঁও থেকে রঙিয়া হয়ে আগিয়াঠুরি পর্যন্ত রুট অনুমোদিত ডাবল লাইন হিসেবে চালু করা হয়েছে। এই রুট দিয়ে আরও বেশি পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন করে স্থাপিত দ্বিতীয় লাইনটি সহায়ক হবে। এর ফলে বর্ধিত গতিতে অধিক ট্রেন চলাচল করতে পারবে, যা ন্যূনতম সময়সীমার মধ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করবে।

প্রেস বার্তায় তিনি জানান, রঙিয়া হয়ে নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি ১৪২.৯৭ কিমি ডাবল লাইন প্রকল্পের একটি অংশ নলবাড়ি ও বাইহাটা সেকশনের কাজ। নলবাড়ি ও বাইহাটার মধ্যে প্রশস্ততা ৩১.৮২৮ কিমি (আপ লাইন ৩১.১৭৬ কিমি এবং ডাউন লাইন ০.৬৫২ কিমি)। এই সেকশনে ২৩টি মেজর ব্রিজ, ছয়টি মাইনোর ব্রিজ এবং ১৪টি লেভেল ক্রসিং গেট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেকশনটিতে রয়েছে তিনটি মধ্যবর্তী স্টেশন যথা ঘগ্রাপার, রঙিয়া ও কেন্দুকোণা। এই দ্বিতীয় লাইনটি বৈদ্যুতিকীকরণের সাথে চালু করা হয়েছে।

কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) সেকশনটির রেলওয়ে ব্রিজ, ট্র্যাক ফিটিংস, পি-ওয়ে অ্যাসেট, ইলেকট্রনিক ইন্টার-লকিং, রিলে রুম এবং লেভেল ক্রসিং পরিদর্শন করে ট্রেন পরিচালনের জন্য কর্মচারীদের প্রস্তুতিও পরীক্ষা করেন। সিআরএস স্টেশন কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে সুরক্ষাজনিত সতর্কতা সম্পর্কে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এর আগ ৩ সেপ্টেম্বর সরভোগ ও বরপেটা রোডের মধ্যে ৬.২২ কিমি সেকশন, ৩ জুন বরপেটা রোড ও পাঠশালার মধ্যে ২১.৪০ কিমি সেকশন, ২০ মার্চ বাইহাটা ও চাংসারির মধ্যে ১০.১৫ কিমি সেকশন, গত বছর ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর চাংসারি ও আগিয়াঠুরির মধ্যে ৭.৪৮ কিমি সেকশন, ১৩ জুন (২০২৩) বিজনি ও সরভোগের মধ্যে ১৮.৯৯ কিমি, ২৪ মে (২০২৩) পাঠশালা ও নলবাড়ির মধ্যে ২৬.৯১ কিমি সেকশন এবং ৩০ আগস্ট (২০২২) নিউ বঙাইগাঁও ও বিজনির মধ্যে ১৭.৫৩ কিমি সেকশন চালু করা হয়েছে।

রঙিয়া হয়ে নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি পর্যন্ত সমগ্র সেকশনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেশের অন্যান্য অংশের সাথে মানুষ ও উপকরণ পরিবহণের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি লাভ করবে। নতুন করে স্থাপিত দ্বিতীয় লাইনটি নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি হয়ে রঙিয়া রুট দিয়ে আরও বেশি মালবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে সহায়ক হবে, কারণ ট্রেন ক্রসিঙের সময় বেঁচে যাবে এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে, দাবি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মার।

হিন্দুস্থান সমাচার / স্নিগ্ধা দাস




 

 rajesh pande