নয়াদিল্লি, ৪ জানুয়ারি (হি.স.): জনহিতার্থে সাংবাদিকতার পরিবর্তে রাষ্ট্রের ক্ষতি করে এমন সাংবাদিকতা দেশের জন্য ক্ষতিকারক। এমনটাই বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। তিনি বলেন, সত্যিকারের এবং ভাল সাংবাদিকতা হল যা সর্বদা সাধারণ মানুষকে দেশের কল্যাণে সচেতন করে। দেশের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। হিন্দি পাক্ষিক যুগবার্তা-র সম্প্রসারণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন অনুরাগ সিং ঠাকুর।
দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টস-এ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অনুরাগ সিং ঠাকুর বলেন, দেশ এখন সর্বাত্মকভাবে বিকাশের পথে। আর্থিক ক্ষেত্রে ভারত গত ১০ বছরে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে এবং দ্রুত তৃতীয় অর্থনীতি হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারীতেও ভারতের অগ্রগতি থেমে থাকেনি, কিন্তু ইনফোডেমিকের মাধ্যমে বিশ্বে ভারতের দুর্দশা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু মিডিয়ায় প্রচলিত কংগ্রেস-কমিউনিস্ট ইকোসিস্টেম জাতীয় স্বার্থের পরিবর্তে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তারা মোদীর বিরোধিতা করে। এমতাবস্থায় যুগবার্তার মতো নিরপেক্ষ পত্রিকা, যারা সৎ সাংবাদিকতা করে তাদের দায়িত্ব হলো দেশ ও সনাতন ধর্মকে রক্ষায় তাদের ভূমিকা আরও প্রসারিত করা।
হিন্দি সাংবাদিকতার বরিষ্ঠ ও প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং হিন্দুস্থান সমাচারের গ্রুপ সম্পাদক রাম বাহাদুর রাই বলেন, বর্তমান সময়ে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক সাংবাদিকতা করার সময় এটা মাথায় রাখতে হবে যে তা যেন প্রামাণ্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে হয়। এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, বক্তব্যকে তথ্য এবং যুক্তিনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করা। যুগবার্তার বিগত সময়ের আখ্যান এবং এর সম্প্রসারণ নিয়ে তিনি বলেন যে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটিই উপযুক্ত সময়। যুগবার্তার দায়িত্ব হবে সত্য ও তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনগণকে তাদের মতামত সম্পর্কে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করা।
হিন্দুস্থান সমাচারের চেয়ারম্যান অরবিন্দ মার্ডিকর এই সংস্থার বিগত ৭৫ বছরের যাত্রা ও গৌরবময় উপাখ্যান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সব বাধা অতিক্রম করে এখন আমরা ১৫টি ভারতীয় ভাষায় পরিষেবা প্রদানকারী ভারতের একমাত্র সংবাদ সংস্থা। বর্তমানে আমরা প্রসার ভারতীর মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে সম্প্রসারিত সংবাদ চ্যানেল ডিডি নিউজ এবং আকাশবাণীতে আমাদের পরিষেবা প্রদান করছি। এর ফলে দেশের অনেক বড় সংবাদমাধ্যমও আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় পরিষেবার প্রশংসা করছে।
এই অনুষ্ঠানে প্রসার ভারতী বোর্ডের সদস্য এবং বরিষ্ঠ সাংবাদিক অশোক ট্যান্ডন হিন্দুস্থান সমাচারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। প্রবীণ সাহিত্যিক ক্ষমা শর্মা আশাপ্রকাশ করেছেন যে যুগবার্তার মাধ্যমে সেই যুগ আবার ফিরে আসুক যা নব্বইয়ের দশকে ছিল। যুগবার্তা-র সম্পাদক সঞ্জীব কুমার সকল অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন যে, বক্তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ীই সাংবাদিকতার আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে যুগবার্তা।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ