উমরাংসো (অসম), ৯ জানুয়ারি (হি.স.) : উমরাংসোর তিন কিলো কালাপানির ১৯ নম্বর আসাম কয়লা কোয়ারি বিপর্যয়ের আজ চতুর্থ দিন। যত সময় যাচ্ছে, কয়লা খাদানে আবদ্ধ শ্রমিকদের জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা প্রায় ক্ষীণ হয়ে আসছে। বুধবার রাতে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে খাদান থেকে জল নিষ্কাশন করতে ওএনজিসির পাম্প ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওএনজিসির মোটর বিকল হয়ে পড়লে কোল ইন্ডিয়া নাগপুর থেকে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে আরেকটি অত্যাধুনিক পাম্প মেশিন নিয়ে এসে জল নিষ্কাশনের চেষ্টা চলছে। তবে বিপর্যয়গ্রস্ত খাদান থেকে এক দিকে জল নিষ্কাশন করা হচ্ছে, অন্যদিকে আশপাশের বন্ধ কয়লা খনি থেকে জল এসে আবার ভরতি হয়ে যাচ্ছে। এতেই গত কয়দিন ধরে বিপত্তির মুখে পড়ছে উদ্ধার অভিযানকারী বিভিন্ন সংস্থা।
আসাম কয়লা কোয়ারির এক শ্রমিক জানিয়েছেন, বিপর্যস্ত খাদানের পার্ব্িবর্তী অন্য কয়লা কোয়ারির ভিতরে ভিতরে লিংক রয়েছে। তাই ওই সব কোয়ারি থেকে জল ঢুকছে। শ্রমিকটি জানান, আসাম কয়লা কোয়ারি থেকে সম্পূর্ণ জল নিষ্কাশন করতে কম করে ছয় থেকে সাতটি পাম্প মেশিনের প্রয়োজন। কারণ ছয় সাতটি মেশিন ব্যবহার করে যদি জল নিষ্কাশন করা হয় তা-হলে তিন থেকে চারদিনে এই জল নিষ্কাশন সম্ভব, দাবি শ্রমিকটির।
এদিকে বুধবার রাতে শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযান বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নৌ-সেনার ডুবুরি, পদাতিক সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ সম্মিলিতভাবে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু উদ্ধার অভিযানে সাফল্য আসেনি। এদিন সকাল দশটা নাগাদ ভারতীয় নৌ-সেনার চার ডিপ ডাইভার কয়লা খনি-গহ্বরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাঁরা ফিরে আসেন। শ্রমিকদের উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
এ খবর লেখা পর্যন্ত কোল ইন্ডিয়ার পাম্প মেশিন লাগিয়ে জল নিষ্কাশনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে আসাম কয়লা কোয়ারিতে বিপর্যয়ের চারদিন পার হয়ে যাওয়ায় খনির ভিতরে আবদ্ধ শ্রমিকদের জীবিত থাকা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারতীয় নৌ-সেনা আসাম কয়লা কোয়ারির ভেতরে বৃহস্পতিবার অত্যাধুনিক রিমোট অপারেটিং সিস্টেম ক্যামেরা পাঠিয়েছে। ওই ক্যামেরার মাধ্যমে খাদানের গহ্বরে জমা জলের নীচে আবদ্ধ শ্রমিকদের কোনও গতিবিধি দেখা যায় কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার পরও খনিতে আবদ্ধ শ্রমিকদের কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি অত্যাধুনিক রিমোট অপারেটিং ক্যামেরা।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব