
নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর (হি.স.): ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসের ৭৭ জন আরআর (২০২৪ ব্যাচের) প্রোবেশনাররা সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।
পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, প্রোবেশনারদের উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি। আমাদের অর্থনীতির বৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং গতি বৃদ্ধি করতে আমাদের আরও বেশি করে বৃহৎ পরিমাণে সরকারি – বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। যে কোনো রাজ্য অথবা অঞ্চলে লগ্নি আকর্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পূর্ব শর্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উপর জোর দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বিনিয়োগ এবং বৃদ্ধির প্রসারে অর্থনৈতিক উৎসাহভাতার মতোই প্রয়োজনীয় কার্যকরী পুলিশি ব্যবস্থা। তরুণদের নেতৃত্বে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত পুলিশ বাহিনী বিকশিত ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণ আধিকারিকরা ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের স্থানে আছে। সেই জন্য তাদের মনে রাখতে হবে যে, কর্তৃত্বের সঙ্গেই আসে দায়িত্ব। তিনি জানান যে, তাদের কাজ এবং আচরণ সব সময়ে থাকবে জনসাধারণের নজরে। তাদের মনে রাখতে হবে, কোনটা নৈতিক এবং কোনটা জরুরি নয়। চরম অবস্থাতেও তাদের ন্যায্য পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। তিনি বলেন যে, যদিও তারা আইন এবং চলতি ব্যবস্থায় অনেক ক্ষমতা পেয়ে থাকে কিন্তু প্রকৃত কর্তৃত্ব আসে তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত নিষ্ঠা থেকে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদর্শগত কর্তৃত্ব তাদের প্রত্যেককে এনে দেবে শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস।
রাষ্ট্রপতি বলেন যে, পুলিশ আধিকারিকদের বেশিরভাগ সময়ে অপরাধ এবং অপরাধীদের নিয়ে কাজ করতে হয়। এতে তাদের সংবেদনশীলতা কমতে পারে, মানবিক দিকগুলো ভোঁতা হয়ে যেতে পারে। তিনি আধিকারিকদের পরামর্শ দেন যে, দক্ষ আধিকারিক হয়ে ওঠার পথে তাদের নিজস্ব সংবেদনশীল মনটা অটুট রাখতে বিশেষ চেষ্টা করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রযুক্তি অনেকটাই পুলিশি ব্যবস্থার পরিবর্তন করে দিয়েছে। ১০ বছর আগেও ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ কথাটা বোঝা অসম্ভব ছিল। আজ নাগরিকদের কাছে এটাই সব চেয়ে বেশি আতঙ্কজনক। বৃহত্তম ও দ্রুততম বর্ধনশীল এআই ব্যবহারকারীদের দেশগুলির অন্যতম ভারত। এতে পুলিশি কাজেও প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, আইপিএস আধিকারিকদের এআই সহ নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে কয়েক কদম এগিয়ে থাকতে হবে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের থেকে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ