
পাটনা, ১৫ নভেম্বর (হি.স.) : বিহার রাজনীতিতে নতুন ভূমিকম্প। ভোটে পরাজয়ের একদিন পরই লালু প্রসাদ যাদবের দল ও পরিবারে ভাঙন ধরল। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন লালু-কন্যা এবং তেজস্বী যাদবের বোন রোহিণী আচার্য। পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।শনিবার সমাজমাধ্যম পোস্টে রোহিণী আচার্য লেখেন , ‘‘আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার (যাদব) পরিবারকেও অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন। সব দায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।’’ আরজেডি-র দুই বিদ্রোহী নেতা সঞ্জয় যাদব এবং রমিজ আলমের পরামর্শেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। উল্লেখ্য, রমিজ আলম রোহিনীর স্বামী। তাঁর এই সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনকে সামনে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রায়।
এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিহারের রাজনৈতিক অন্দরে তুমুল আলোড়ন শুরু হয়েছে। সরাসরি তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় যাদব ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন তিনি।তাঁর ইঙ্গিত দলের ক্রমাগত অধঃপতনের জন্য দায়ী।
দলীয় সূত্রের দাবি, ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই তেজস্বীর পরামর্শক-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ তীব্র হচ্ছিল। রোহিণীর বিস্ফোরক মন্তব্য সেই ক্ষোভকে আরও প্রকাশ্য করে দিল।এবারের নির্বাচনে রাজদ গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোহিণীর এই নাটকীয় অবস্থান বদলের পর রাজদ নেতৃত্ব ও যাদব পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই এখন নজর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত , লালু অসুস্থ থাকাকালীন তাঁকে কিডনি দিয়েছিলেন রোহিণীই। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ঘটনা। ওই সময়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে লালুর কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়। দাবি করা হয়, রোহিণীই সেই কিডনি দেন। তার পর দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে কন্যা রোহিণীর প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে লালুকে। গত লোকসভা নির্বাচনে মেয়েকে টিকিটও দিয়েছিলেন লালু। বিহারের সারন লোকসভা কেন্দ্র থেকে আরজেডির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি। সেই রোহিণীই এ বার ত্যাগ করলেন যাদব পরিবারকে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য