সাতচাঁদে সিপিআই(এম)-এর মিছিলে বাঁধা, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৪ নভেম্বর (হি.স.) : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাতচাঁদ বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে সাতচাঁদ আরডি ব্লকে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি থাকা সত্ত্বেও
সিপিআই(এম)-এর মিছিল


সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৪ নভেম্বর (হি.স.) : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাতচাঁদ বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে সাতচাঁদ আরডি ব্লকে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা দেখিয়ে সাব্রুম মহকুমা শাসকের ডিসিএম ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিছিলটিকে ব্লকের প্রায় ১ কিলোমিটার আগে আটকে দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছিলে উপস্থিত পার্টির কর্মী-সমর্থকরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা।

এদিনের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য ও আদিবাসী অধিকার মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জীতেন্দ্র চৌধুরী, টিওয়াইএফ রাজ্য সভাপতি কৌশিক দেববর্মা, জিএমপি সাব্রুম মহকুমা সম্পাদক প্রভাত চৌধুরী এবং সিপিআই(এম) সাব্রুম মহকুমা সম্পাদক অরুণ ত্রিপুরা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

নেতৃত্বরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও মিছিল আটকানো সরকারের ভীত মনোভাবের প্রতিফলন। বক্তৃতায় জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “জনগণের দাবি তুলে ধরতে গেলে সরকার আতঙ্কিত হয়, তাই গণতান্ত্রিক কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।”

এদিনের সাত দফা দাবির মধ্যে ছিল — মনুবাজার–পোয়াংবাড়ী রাস্তাটির বেহাল অবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জিও-ট্যাগিং প্রক্রিয়ায় দলবাজি বন্ধ করা। রেগা শ্রমিকদের এক সপ্তাহের মধ্যে মজুরি প্রদান করা। কলাছড়া বাজার সংলগ্ন থাইলিক তৈসা কমিউনিটি হল দখলমুক্ত করা। অটল জলধারা ও জল জীবিকা মিশনে সংযোগকৃত বাড়িগুলিতে নিয়মিত জল সরবরাহ নিশ্চিত করা। নেশা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দ্রুত ভিলেজ কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা।

ডেপুটেশন আটকে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সাতচাঁদ ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। ঘটনার পর সিপিআই(এম) নেতৃত্ব ঘোষণা করেছেন, জনগণের দাবি আদায়ের লড়াই আরও তীব্রতর করা হবে আগামীদিন।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande