কৃষিতে আত্মনির্ভরতার চাবিকাঠি মাটির সঠিক জ্ঞান : কৃষিমন্ত্রী রতনলাল
আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : মৃত্তিকা বা মাটি হল কৃষির মূল ভিত্তি। কৃষির মাধ্যমে উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরতা অর্জন করতে হলে মাটির চরিত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। বুধবার রাজধানী আগরতলায় প্রজ্ঞা ভবনে ভূমি সম্পদ সমীক্ষা সংক্রান্ত এক কর্মসূচ
কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ


আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : মৃত্তিকা বা মাটি হল কৃষির মূল ভিত্তি। কৃষির মাধ্যমে উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরতা অর্জন করতে হলে মাটির চরিত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। বুধবার রাজধানী আগরতলায় প্রজ্ঞা ভবনে ভূমি সম্পদ সমীক্ষা সংক্রান্ত এক কর্মসূচির উদ্বোধন করে এই মন্তব্য করেন ত্রিপুরার কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের জিডিপিএর অন্যতম প্রধান ভিত্তি হল কৃষি এবং ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও কৃষিই রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। রাজ্যের জিএসডিপি-এর প্রায় ৪৬ শতাংশ আসে কৃষি ক্ষেত্র থেকে। ফলে কৃষিতে সাফল্য আনতে হলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও মাটির গুণাগুণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।

এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি দফতরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া এবং কৃষি দফতরের নোডাল অফিসার ডঃ উত্তম সাহা সহ দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিতে আত্মনির্ভর হতে হলে চারটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত- মাটির চরিত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, উন্নত ও মানসম্মত বীজ ব্যবহার করতে হবে। তৃতীয়ত, মাটিতে জলের স্তর কোথায় রয়েছে তা জানতে হবে এবং সর্বোপরি, বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এই চারটি প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করলেই কৃষিতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন সম্ভব।

কর্মসূচিতে রাজ্যের কৃষি জমির গঠন, বৈশিষ্ট্য ও মাটির গুণাগুণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কৃষি দফতরের নোডাল অফিসার ডঃ উত্তম সাহা। তিনি বলেন, ভূমি সম্পদ সমীক্ষার মাধ্যমে কৃষকদের সঠিক দিশা দেখানো সম্ভব হবে এবং এর ফলে কৃষি উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখ্য, এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং রাজ্যে টেকসই ও উন্নত কৃষি ব্যবস্থার পথ সুগম হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন উপস্থিত বক্তারা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande