
কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর ( হি. স.): এবার ৫০ বছরে পদার্পণ করলো হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া(এইচএমএআই)। এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার থেকে কলকাতার নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত হলো তিনদিনব্যাপী আলোচনা চক্র এবং হোমিও এক্সপো । অনুষ্ঠানটি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত । শুক্রবার হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
আলোচনাচক্রের সূচনা হয় আগত সকল অতিথিদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে, পরিবেশিত হয় উদ্বোধনী সঙ্গীত। অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া , পদ্মশ্রী মুকেশ বাত্রা, পদ্মশ্রী কল্যাণ ব্যানার্জী এবং পদ্মশ্রী আর এস পারেক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এইচএমএআই - র জাতীয় সভাপতি ডঃ শ্যামল কুমার মুখার্জি , সুভাষ কৌশিক, সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ হোমিওপ্যাথির প্রাক্তন সভাপতি ডঃ বকশী, ঋষি আচার্য , পিনাকী এন ত্রিবেদী প্রমুখ ব্যক্তিরা ।
আলোচনার মূলপর্ব শুরু হয় এইচএমএআই এর জাতীয় সভাপতি ডঃ শ্যামল কুমার মুখার্জির এইচএমএআই- র সকল স্বর্গীয় সদস্য এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের প্রতি কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে । এরপর বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এইচএমএআই - র সদস্য সহ অন্যান্য অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান । তিনি বলেন , শহর থেকে গ্রাম , পশ্চিমবঙ্গ সরকার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উন্নতিতে যে অবদান রেখেছে , তা প্রশংসার দাবি রাখে । এখনও পর্যন্ত রাজ্যস্তরে তৈরি হয়েছে ৭০ টি নতুন হোমিওপ্যাথি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যা পৌঁছে গেছে জনসংখ্যার ২০%- র কাছে। ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পড়াশোনার উন্নতিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন এদিন । বক্তব্যের শেষে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মানস ভূঁইয়া যৌথভাবে পুরস্কার তুলে দেন ডঃ মৃণাল কান্তি ঘোষের হাতে । অনুষ্ঠানের মাঝে প্রদর্শিত হলো একটি ছোট ভিডিও , যার মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হলো প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ ৫০ বছরের পথচলা ।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন , ভারতীয় জনমানচিত্রে ৩৮% মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে জীবনধারণ করে । তাদের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনেকটাই সহজসাধ্য । বিদেশেও এই চিকিৎসা পদ্ধতি যথেষ্ট জনপ্রিয় । ভবিষ্যতে এই চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরও উন্নতি কামনা করে তাঁর নাতিদীর্ঘ বক্তব্যের ইতি টানেন । এরপর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী এবং ৪০০ পৃষ্ঠাসম্বলিত প্রাতিষ্ঠানিক স্মারক পত্রিকা র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ । এছাড়াও এদিন প্রকাশিত হলো এম কে সাহানীর লেখা বই এবং ভারতীয় ডাকবিভাগের (পূর্ব কলকাতা) তরফে থেকে প্রকাশিত হলো বাঁকুড়া ও বীরভূমের দুটি দুষ্প্রাপ্য স্ট্যাম্প । একে একে বক্তৃতা রাখেন অন্যান্য অতিথিরা । এরপর সমাপনী বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শেষ হয় ।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৃজিতা বসাক